অনলাইন জুয়া এবং প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তৌহিদ


কে এম শাহীন রেজা. কুষ্টিয়া প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২৩, ৩:০০ অপরাহ্ন / ৩৮৫
অনলাইন জুয়া এবং প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তৌহিদ

বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে অনলাইন জুয়া ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে একটি প্রতারক চক্র । কুষ্টিয়ার তেমনি এক প্রতারকের নাম তৌহিদ আরেফীন । সে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের জয়নাল আবেদীন পুত্র ।
জানা যায়, গত ১৯/০১/২০২৩ ইং তারিখে তৌহিদ ফোন দিয়ে মুন্সী শাহীন আহমেদ জুয়েলকে গুগল এ্যাডসেন্স কাজ করার প্রস্তাব দেয় । জুয়েল শর্ত সাপেক্ষে তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ১৯/০১/২০২৩ ইং তার গুগল এ্যাডসেন্স একাউন্ট এর ইমেল আইডি (voiceofkushtiabd@gmail.com) এবং পাসওয়ার্ড Whatsapp ম্যাসেন্জারের মাধ্যমে তাকে প্রেরণ করে। যেখানে শর্ত ছিলো সে আমার একাউন্টের পাসওয়ার্ড বা অনান্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোন তথ্য পরিবর্তন করতে পারবে না । এর পর তৌহিদ জুয়েলের সাথে যোগাযোগ না করায় জুয়েল শুক্রবার ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখে আমার গুগল এ্যাডসেন্স একাউন্ট এ লগ ইন করতে গিয়ে দেখে তৌহিদ আরেফীন গুগল এ্যাডসেন্স একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড, মোবাইল নম্বর এবং সিকিউরিটি ইমেল এ্যাড্রেস পরিবর্তন করে তার নিজস্ব পাসওয়ার্ড, মোবাইল নম্বর এবং সিকিউরিটি ইমেল দিয়ে রেখেছেন । পরবর্তিতে জুয়েল তৌহিদের সাথে যোগাযোগ করলে সে অমাকে আমার এ্যাডসেন্স একাউন্ট ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তার পরিবর্তে আমাকে নতুন ২টা এ্যাডসেন্স একাউন্ট, মনিটাইজেশন ইউটিউব চ্যানেল ও ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় ।
এরপর জুয়েল শনিবার বিকেলে তৌহিদের গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে তার মা’কে বিষয়টি অবহিত করলে তার মা বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বাস দেন । পরবর্তিতে শনিবার ০৪/০২/২০২৩ ইং তারিখে আনুমাকি রাত সাড়ে আটটার দিকে তৌহিদ জুয়েলকে আমাকে তার লোক মারফত ০১৪০২-৬৩২৬৪০ নং মোবাইল ফোন করে থেকে বিভিন্ন ধরণে হুমকি প্রদান করে এবং বলে তোর এ্যাডসেন্স একাউন্ট এ ৪০,০০০/ (চল্লিশ হাজার) ডলার আছে যা তুই ফেরৎ পাবিনা, এ্যাডসেন্স একাউন্ট ফেরৎ চাইলে তোকে জানে মেরে ফেলবো বলে হুমকি দেয়।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৌহিদের অফিসের সাবেক এক কর্মকর্তা জানান, তৌহিদ এর আগেও অনেকের সাথে এমন কাজ করেছে । সে খাজা নগরের এক ছেরের সাথে প্রতারণা করলে সেই সময় তা ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত গড়াই । বর্তমানে সে অনলাইন জুয়ার কার্যক্রমের সাথে জড়িত বলে শুনেছি । সে দীর্ঘ দিন এলাকায় থাকেনা ।
নাম প্রকাশে তৌহিদের অফিসের সাবেক আরো এক কর্মকর্তা জানান, সে আমাদের সাথে এমন কাজ করেছে । যার ফলে গত তিন বছর আমারা তার সাথে কাজ করি না ।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তৌহিদ তিন বছর পূর্বে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ বাজারে অফিস নিয়ে আউট সোর্সিং এর ব্যাবসা পরিচালনা করতেন । সেই অফিসেও একাধিকবার এই প্রকার ঝামেলা হয়েছে । যার ফলে সে ব্যবসা করতে না পেরে অফিস বন্ধ করে দেন এবং এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পাড়ী জমান ।
এই বিষয়ে জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলমান ।