আনোয়ারায় রতন হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশ


নুরুল আমিন, অধিকার কণ্ঠ প্রকাশের সময় : জুন ৩০, ২০২১, ১:৫৫ অপরাহ্ন / ১৮৯
আনোয়ারায় রতন হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশ

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় জায়গা জমির বিরোধ জেরে মেয়ের সামনে রতন দাশ (৫৫) নামের এক মুদি

দোকানিকে‌ কুপিয়ে খুন করার প্রতিবাদ এবং সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে

আনোয়ারার সুশীল সমাজ।

মঙ্গলবার ( ২৯ জুন ) বিকেলে উপজেলার খিলপাড়া গ্রামে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট আইনজীবী অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি উৎপল সেন,

উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা মামুনুর রশীদ চৌধুরী, আনোয়ারা প্রেসক্লাব সভাপতি এম আনোয়ারুল হক,

শ্রমিকলীগ নেতা রনজিত চৌধুরী, নমিতা আইচ, মৃদুল চৌধুরী, মনি শীল, রাজিব ভৌমিক, নিহতের স্ত্রী

অশ্রু দাশ প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা পলাতক দুই আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার ও তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৬ জুন) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড খিলপাড়া গ্রামে

রমেশ দাশের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে খুন হন রতন দাশ।

নিহত রতন দাশ ৭নং সদর ইউনিয়নের ১নং খিলপাড়া ওয়ার্ডের রমেশ দাশের বাড়ীর মৃত নির্মল দাশের ছেলে।

নিহত রতনের ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রতন দাশ ও স্থানীয় মিন্টু ভৌমিক ও টিটু ভৌমিকের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ

চলে আসছে।

কয়েক মাস আগে রতন দাশ তার দখলীয় জায়গা থেকে গাছ কাটলে প্রতিপক্ষ বাধা দেয়।

এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাটা গাছ ঘটনাস্থলে

রেখে দিতে বলে।

কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শনিবার মিন্টু ভৌমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা  কাটা গাছ নিয়ে যেতে চাইলে

রতন দাশ বাধা দেন।

এসময় মিন্টু ভৌমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রতন দাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে

কুপিয়ে জখম এবং লাঠিসোটা দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারধর করে।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রতন দাশকে উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় আনোয়ারা থানায় নিহতের স্ত্রী অশ্রু দাশ বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা

দায়ের করেন।

আসামীরা হলেন, টিটু ভৌমিক (৫০), মিন্টু ভৌমিক (৪৭), নিলয় কিশোর ভৌমিক (১৯), কনিকা ভৌমিক (৪৫)।

পুলিশ টিটু ভৌমিকের ছেলে নিলয় কিশোর ভৌমিক ও স্ত্রী কণিকা ভৌমিককে গ্রেফতার করে।

অন্য আসামীরা এখনও পলাতক রয়েছে।