ইসলামাবাদের অসহায় এক কিডনি রোগীর আকুতি


মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৬, ২০২০, ৬:০০ পূর্বাহ্ন / ২২৫
ইসলামাবাদের অসহায় এক কিডনি রোগীর আকুতি

কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের কিডনি রোগী রফিকুল ইসলামকে তার মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ না করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয় কুচক্রী মহল তার পরিবারকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। দরিদ্র ও অসুস্থ রফিক ইউনিয়নের মধ্যম গজালিয়ার মৃত রশিদ আহমদের পুত্র। বর্তমানে তার বসতঘরটি খাসজমিতে অবস্থিত। দীর্ঘ ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে তিনি সেখানে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে অনাহারে-অর্ধহারে জীবনযাপন করে আসছেন।
তিনি বলেন, গত চার বছর যাবৎ তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি সপ্তাহে ২ বার ডায়ালাইসিস নিতে হচ্ছে। চলমান করোনায় আর্থিক সঙ্কটে তিনি ডায়ালাইসিসও নিতে পারছেন না। এলাকার লোকজনের আর্থিক সহায়তায় পরিবারটি কোন রকমে চলছে। তার দুই ভাই পরীক্ষার্থী। এমতাবস্থায় বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হলে তিনি পরিবার কোথাও যাওয়ার ঠিকানা নেই।
অসুস্থ এ রোগী আরো বলেন, বর্তমান সরকার গৃহহীনদের বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন। যা প্রশংসার দাবি রাখে। তবে বর্তমানে তিনি যে বসত ভিটায় অবস্থান করছেন সে বসতভিটায় অন্য একজনকে ঘর নির্মাণ করে দেয়ার জন্য কয়েকদিন আগে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। অভিযানে ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ার অংশ নেন। উচ্ছেদকালে বসতবাড়ির বেড়ায় আচড় লেগে সার্ভেয়ার সামান্য কষ্ট পান। এটিকে পুঁজি করে স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সহকারী কমিশনারকে ( ভূমি) হামলার প্রচেষ্টা করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে। তার মতে সংবাদটি স¤পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। খবরে ২০/২৫ জনের হামলার যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাও স¤পূর্ণ মিথ্যা। তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে স্থানীয় একটি গণমাধ্যম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি আরো জানান, উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে তিনি উপস্থিত ভূমি কর্মকর্তার পায়ে ধরে তাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ না করতে অনেক কাকুতি-মিনতি করেছেন। তিনি তাকে বলেছেন যে, তিনি একজন অসহায়, দরিদ্র ও কিডনি ডায়ালাইসিস রোগী। তার উপার্জন বলতে কিছুই নেই। মাথা গুজানোর একমাত্র ঠাই বসতভিটা থেকে তাকে উচ্ছেদ করা হলে স্ত্রী-সন্তানদের পথে বসতে হবে। তার কোন সহায় সম্বল নেই। অন্য কোথাও বসতভিটা কেনার টাকাও নেই।
এমতাবস্থায় তিনি প্রধানমনত্রী ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের প্রতি আবেদন জানান, তাকে বসতভিটা থেকে যেন উচ্ছেদ করা না হয়। তাকে বসত ভিটায় বসবাসের সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে, কুচক্রীমহল ও ষড়যন্ত্রকারীরা তার দুই ভাইকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।