জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ঈদগাঁও’র কৃতি মুখ হেলালুদ্দীন আহমেদ। এ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভবিষ্যতেও তিনি বরাদ্দ মঞ্জুর করার আশ্বাস দেন।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি আকস্মিক বিদ্যালয় আঙ্গিনায় উপস্থিত হয়ে চলমান প্রকল্পের কার্যক্রম স্বচক্ষে দেখেন। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের আওতায় এডিপি বিশেষ বরাদ্দ থেকে তিনি এ প্রকল্পের জন্য ২০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছিলেন। কক্সবাজার জেলা পরিষদের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চকোরিয়ার মেসার্স আমিন কনসট্রাকশন। প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের তিনতলা বিশিষ্ট পুরনো একাডেমিক ভবনের সম্মুখে ড্রেন ও চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। যা সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখ হয়ে খাঁন বাহাদুর মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মার্কেটের পেছন দিক দিয়ে বিদ্যালয়ের মূল ফটক অতিক্রম করে শেখ রাসেল ভবন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জান্নাত জানান, গত ৩১ আগস্ট এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিদ্যালয় মাঠ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। বৃষ্টি ও বন্যার পানি সহজে নিষ্কাশন হবে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় পানি জমবে না। তিনি কিছুদিনের মধ্যেই এ কার্যক্রম স¤পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিদ্যালয় গেইটে পৌঁছুলে হেলালুদ্দীন আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান উপস্থিত শিক্ষকমন্ডলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জান্নাত, সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম, শ্রীমতি পূরণাম পাল, সহকারি শিক্ষক আব্দুল খালেক, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, দেলোয়ার হোসেন, হিয়া মুসতারী, মোঃ হাবিবুল্লাহ, মোহাম্মদ আলম, আনিসুর রহমান, শেখর কান্তি দে, মোজাম্মেল হক, রফিকুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, রুহুল আমিন, আবু বক্কর সিদ্দিক, শামসুল আলাম, ফাতেমা আক্তারসহ কর্মচারীগণ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহমুদুল করিম মাদু জানান, বিদ্যাললয়ের উন্নয়নে ২০ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের নিকট কৃতজ্ঞ থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :