শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জের আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আবদুল মান্নারের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ৬শ ৩৯ টাকা দিলে সবাইকে উপবৃত্তি পাইয়ে দেবেন বলে অর্থ আদায় করেছেন এই শিক্ষক। তবে, অনেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিগত দিনে ঘুষ নিলেও তাদের তালিকায় নাম আসেনি। এমনকি পরবর্তীতে সেই টাকাও ফেরত দেননি এমন অভিযোগ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের।
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসাম্মৎ নুসরাত, মো. সোলায়মান, গোলাম রাব্বি, মো. জুবায়েরসহ প্রায় ২৮ শিক্ষার্থীর অভিযোগ, জেষ্ঠ্য সুপারের কাছে ৬শ টাকা দিয়েছে তারা উপবৃত্তি পাবার জন্য।
৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী বনি আমিনের অভিযোগ, উপবৃত্তির তালিকায় নাম দেয়ার জন্য তার বাবা মাদরাসায় এসে ৬শ টাকা দিয়ে গেছে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসা. নাদিয়া বলেন, উপবৃত্তির জন্য অনেক আগে ৬শ টাকা দিয়েছি। কিন্তু উপবৃত্তিও পাইনি টাকাও ফেরত দেয়নি।
প্রতিষ্ঠানের সহকারী মৌলভী আব্দুল মজিদ জানান, শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অফিস খরচের জন্য ৬শ টাকা করে নিয়েছে বলে জানি। কিন্তু কত টাকা নিয়েছে তা বলতে পারবো না।
সহকারী সুপার আবুল কালাম অর্থ গ্রহণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপবৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য অফিস খরচ বাবদ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেছে। কত টাকা উত্তোলন করছেন তা আমার জানা নেই। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যস্ত থাকি।
এবিষয়ে মাদরাসার সুপার আব্দুল মান্নানকে না পেয়ে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আপনার মতামত লিখুন :