সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের দু’পাশে বসে হাট। বহু বছর ধরে সপ্তাহে দু’দিন রুটিনে বসা হাটে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘঠে। দিন দিন বাড়ছে হাটের পরিধি। হাটের ইজারাদারেরা নিজেদের ইচ্ছে মতো হাটের সম্প্রসারণ করতে থাকলেও প্রশাসন নীরব।
এদিকে মহাসড়কে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানান ধরণের যানবাহনের সংখ্যা। মহাসড়কের গাড়ী থামার নির্ধারিত জায়গায় বসছে কাঁচাবাজার।তাতে একদিকে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে আশঙ্কা বাড়ছে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার। তবে ছোটখাট দুঘর্টনা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
গত রবিবার (৩ জানুয়ারী) বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো বাসস্ট্যান্ডের যে স্থানে যাত্রী ওঠানামা করানোর কথা সে জায়গায় কাঁচা বাজার। ফলে মহাসড়কেই যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। এতে বাড়ছে যানজট। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
হাটের ব্যবসায়ী আব্দুস ছোবাহান জানান, অন্তত ৮ বছর ধরে তিনি এখানে এভাবে ব্যবসা করছেন। এ জন্য হাট কমিটিকে দিতে হয় প্রতিদিন ৫০ টাকা। হাটিকুমরুল এলাকার আনোয়ার হোসেন ১০ বছর, রশিদপুর এলাকার খোরশেদ আলম ও উলিপুর এলাকার জামাল উদ্দিন ১৫ বছর ধরে এভাবে ব্যবসা করে আসছেন বলে জানান। আর ইজারাদাররা আদায় করছেন নিয়মিত খাজনা।
বাসচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে সাপ্তাহে দু’দিন হাট বসে। তখন ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে হয়। তাছাড়া গাড়ি যেখানে থামানোর কথা সেখানে থামানো যায় না। প্রধান সড়কের ওপরই গাড়ি দাঁড় করাতে হয়।
বোয়ালিয়া হাট ইজারাদার আব্দুস সোবাহান ফকিরের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন, মহাসড়কে কোনো রকম হাট বসানো যাবেনা।, এরা অবৈধ ভাবে হাট বসাচ্ছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :