ওমানে নবায়নের জন্য দেয়া পাসপোর্ট সময় মতো না পেয়ে দিশেহারা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
যথাসময়ে পাসপোর্ট ডেলিভারি না পেলে বৈধভাবে ওমানে থাকার রেসিডেন্ট কার্ড নবায়ন সম্ভব হয় না প্রবাসী কর্মীদের।
ফলে প্রতি মাসের লেট ফি বাবত গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় নয় হাজার টাকা।
কাজকর্ম ফেলে দূতাবাসে এসে পাসপোর্ট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে।
কেউ কেউ পাঁচ ছয়বার এসেও পাসপোর্ট পাননি বলে অভিযোগ করেন।
ফলে অনেককে হারাতে হচ্ছে বেঁচে থাকার অবলম্বন নিজের চাকুরিটাও।
কেউ কেউ জরুরি প্রয়োজনেও করতে পারছেন না ট্রাভেলিং।
এমনকি নিজের পরিবারের কারো মৃত্যু হলেও পাসপোর্ট বিড়ম্বনায় থাকা প্রবাসীরা শেষ বারের মতো দেখতে পারছেনা নিজের আপনজনের প্রিয় মুখটি।
এ নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় থাকা প্রবাসীদের ক্ষোভ যেমন বাড়ছে।
তারা বলছেন, সময় মতো পাসপোর্ট পাওয়া তাদের নাগরিক অধিকার।
দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগী প্রবাসী কর্মীদের।
দূতাবাস ও সরকার সম্পর্কেও তৈরি হচ্ছে নেতিবাচক ধারণা। বিদেশে এমন অপেশাদার দায়িত্বহীন আচরণে ফুঁসে উঠেছেন প্রবাসী কর্মীরা।
ওমান আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কাটে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য দিলে পরবর্তী ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার কথা থাকলেও তা ৫-৬ মাসেও মিলছেনা।
ওমান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ শাহাজান মিয়া বলেন, তিনি নিজেও পাসপোর্ট বিড়ম্বনার শিকার বলে জানান।
সালালার এক বাংলাদেশি বিপণন কর্মী বলেন, ‘তিন মাস ধরে নিয়মিত দূতাবাস ও এক্সচেঞ্জে ধর্না দিয়ে একটাই বার্তা পাচ্ছি, “আপনার পাসপোর্ট প্রিন্টিং প্রসেসিংয়ে আছে।”
কিন্তু প্রিন্ট হয়ে কবে হাতে আসবে সেই উত্তর দিতে পারছে না এক্সচেঞ্জ বা দূতাবাস।
চট্টগ্রাম সমিতি ওমান সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, ‘করোনাকালে রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীরা যখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হতাশায় আছেন, সেখানে পাসপোর্ট নিয়ে এমন ভোগান্তি প্রবাসীদের জনজীবন বিষিয়ে তুলেছে।
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ ওমানে সভাপতি প্রকৌশলী আলী আশরাফ পাসপোর্ট ডেলিভারিতে বিলম্বে হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং সরকার সহ সংশ্লিষ্টদের এ সমস্যা সমাধানে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
Leave a Reply