কালিয়াকৈরে ধর্ষিত নারীকে ইউপি মেম্বারের নির্যাতন


সংবাদদাতা, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২০, ২০২০, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন / ২০৯
কালিয়াকৈরে ধর্ষিত নারীকে ইউপি মেম্বারের নির্যাতন

গাজীপুরের কালিয়াকৈর ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকায় বিয়ের প্রলোভনে পড়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে দুই সন্তানের জননী। ধর্ষণের বিচারের বিচারের আশ্বাস দিয়ে স্থানীয়  ইব্রাহিম মিয়া নামের এক ইউপি মেম্বার ওই নারীকে তিনদিন আটকে রেখে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার তিনটি সাদা ষ্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে নারীকে গ্রাম ছাড়া করেছেন।

এ ঘটনায় গাজীপুর পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

থানা পুলিশ জানায়, ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর তাজউদ্দিন আহম্মদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এলাকাবাসী জানান, ওই নারীর দেড় বছর আগে তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নাবালক দুই সস্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করে আসছিল।  একই এলাকার মোক্তার আলীর ছেলে শাহ আলম বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ১৮ নভেম্বর শাহ আলম তার বাড়িতে গেলে সেই নারী তাকে বিয়ে করার চাপ দেন। এতে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। ঝগড়ার শব্দ পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এসে  শাহ আলমকে আটক করে নারীকে বিয়ে করার চাপ দেয়। পর দিন শাহ আলমের দুলাভাই মনির হোসেন বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই নারীকে ডেকে নিয়ে মারপিট করে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়।

মনির এলাকাবাসীকে জানায়, ওই নারী মনিরের বাড়িতে গিয়ে বিষ পান করেছে। পরে সন্ধ্যায় মনির হোসেন ওই নারীকে স্থানীয় ইব্রাহীম মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে তিন দিন ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় আটক রেখে তাকে মারপিট করে জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়।

অভিযোগকারী নারী জানান, ইব্রাহিম মেম্বার তিনদিন আটক করে তাকে মেরে ফেলার  চেষ্টা করে। শারীরিক নির্যাতন করে। পরে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে আমাকে ছেড়ে দেয়।

ইউপি মেম্বার ইব্রাহিম মিয়া জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। আমি তাকে কোন প্রকার মারপিট করিনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।

কালিয়াকৈর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ওই ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। ডাক্তারি পরীক্ষার পর মামলা রুজু হবে। ওই নারীকে থানায় আসতে বলেছি।