কুষ্টিয়া ভেড়ামারার মোকাররমপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের তহসিলদার শরিফুল ইসলামের ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগীরা।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন জমির ভুক্তভোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভূমি কর্মকর্তা বলেন, দৌলতপুরের মৃত জিয়াউল হকের ছেলে শরিফুল ইসলামের দৌলতপুর ছাড়াও বিলশুকা ও মজমপুরে বাড়ি রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেবা নিতে আসা অধিকাংশ ব্যক্তি এর আগেও একাধিকবার এসেছেন। তহসিলদার শরিফুল সেদিনও তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন। সাংবাদিক দেখে কয়েকজনের কাজ করে দিলেও উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি ছবি তুলে রাখেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, আমি লিখতে পারি, লিখাতেও পারি।
বোঝা গেল তিনি সিন্ডিকেট তৈরী করে রেখেছেন।
জানা গেছে, শরিফুলের নিকট কেউ কাজের জন্যে গেলে নানা অজুহাতে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে বাড়িতে লোক দিয়ে কাজ করাবে বলে অতিরিক্ত টাকা নেয়। যা নেয় তার অর্ধেকেরও কম রশীদ করে। ৩০০ টাকার কমে একটি পর্চাও মেলে না।
ভুক্তভোগী সামিরুন বেগম বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে টাকা দিয়েছি এখনো কাজ হয়নি।
বাহাদুরপুরের জমিন মণ্ডল বলেন, তহসিলদার শরিফুলকে জমি খারিজের জন্য টাকা দিয়েছি ১০ হাজার ৫০০ আর সে দাখিলা কেটেছে ৭ হাজার ৩০০ টাকার।
একাধিক বাড়ি থাকার কথা স্বীকার করলেও শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি কোন অনিয়ম-দুর্নীতি করি না।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেন বলেন, শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :