খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু


সংবাদদাতা, খাগড়াছড়ি প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১২, ২০২০, ১২:৪৬ অপরাহ্ন / ২৯৩
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ডিসেম্বর) এই সংক্রান্ত সরকারি গেজেট জারি হয়েছে। গেজেটে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব সজল কান্তি বড়ুয়া। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন গত পরিষদের সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুখাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৫ সদস্যের পুনর্গঠিত নতুন পরিষদের সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম. আব্দুল জব্বার, মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হিরণজয় ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আশুতোশ চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য শুভমঙ্গল চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যাপক নীলোৎপল খীসা, খাগড়াছড়ি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মংক্যচিং চৌধুরী, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেস্রাচাই চৌধুরী, গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গুইমারাইউপি চেয়ারম্যান মেমংমারমা, জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শতরূপা চাকমা এবং কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য শাহিনা আকতার।

এদিকে মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ পাওয়ায় তার জন্মস্থান রামগড়ে খুশির জোয়ার বইছে।

রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন এবং পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল আলম কামাল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, রামগড় এক সময় মহকুমা শহর ছিলো। কালের আবর্তনে অনেক পিছিয়ে পড়ছে এই উপজেলা।আশা দিয়ে বারবার নিরাশ করেছে জনপ্রতিনিধিরা। রামগড়ের ছেলে অপু জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ায় আমরা প্রত্যাশা করছি তিনি রামগড়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নজর দিবেন।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য শান্তি চুক্তি অনুসারে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে পৃথক ভোটার তালিকার মাধ্যমে পরিষদের নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকলেও আইনিজটিলতার কারণে পৃথক ভোটার তৈরি না হওয়ায় পরিষদগুলো সরকার পরিবর্তনের পরপরই পুনর্গঠন করে থাকে। পার্বত্য চুক্তি অনুসারে জেলা পরিষদ স্থানীয় উন্নয়নের প্রধান প্রাণশক্তি হওয়ায় আর হস্তান্তরিত বিভাগ হিসেবে ৩৩টি বিভাগ জেলা পরিষদে ন্যস্ত থাকায় সমতলের তুলনায় পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অত্র এলাকায় কাজ করছে।