গঙ্গাচড়ায় শীতের তীব্রতায় জনজীবন স্থবির


রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৭, ২০২০, ১২:৫৭ অপরাহ্ন / ৩৫৭
গঙ্গাচড়ায় শীতের তীব্রতায় জনজীবন স্থবির

ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়ার জনজীবন। দিন দিন শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কমছে তাপমাত্রা। এছাড়া গত দু’দিন থেকে এ উপজেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দিনের বেশি ভাগ সময় সূর্যের দেখা না মেলায় নিম্নগামী হয়ে পড়ছে রাতের তাপমাত্রা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে এখানকার প্রকৃতি। আর গভীর রাতে টিনের ঘরে শোনা যায় বৃষ্টি পড়ার মতো শীত পড়ার ঝমঝম শব্দ। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষেরা। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে শীতার্ত মানুষজন। কাজে বের হতে পারছে না খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের হতদরিদ্র পরিবারগুলো। তীব্র শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আবালবৃদ্ধবনিতা। গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, তিস্তা ও ঘাঘট নদী বিধৌত হওয়ায় এ অঞ্চলে ঠান্ডা বেশি। ফলে প্রতিদিনই হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি। তবে রোগের তীব্রতা কম থাকায় অধিকাংশ রোগীকেই চিকিৎসাপত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এ উপজেলার চরাঞ্চলসহ হতদরিদ্র মানুষজন তীব্র শীত কষ্টে ভুগলেও সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীত বস্ত্র বিতরণের তেমন তৎপরতা চোখে পড়ছে না। যা দেওয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

এমতাবস্থায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।