ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে অপহরণের ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ছাত্রীটিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে শরিফ মিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে উপজেলার ধোপাঘাট গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি শরিফ মিয়া একই গ্রামের ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে সাড়া না পেয়ে তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বিয়ের প্রস্তাবে পরিবার রাজি না হওয়ায় অপহরণের হুমকি দেয়। গত ১ ডিসেম্বর ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শরিফ ও তার লোকজন ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবার জানতে পারে। পরে টানা চার দিন স্থানীয়ভাবে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় ৪ ডিসেম্বর স্কুলছাত্রীর মা গফরগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। তার আভিযোগ, মামলার ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ তার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে খুবই ছোট। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যাতায়াতে বখাটে শরিফের উত্ত্যক্তের কথা প্রায়ই সে আমাকে বলত। পরে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে আমরা বিয়ে দেব না বলে সাফ জানিয়ে দিলে সে মোবাইলে অপহরণের হুমকি দেয়। কিন্তু মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে, আমরা এটা বুঝতে পারেনি। অপহরণের চার দিন পর্যন্ত ওই বখাটের আত্মীয়স্বজনের কাছে কতই না অনুরোধ করেছি আমার মেয়েটাকে দিয়ে দিতে। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। মেয়েটা এখন কী অবস্থায় আছে, সেটাও আমরা জানি না। পরে বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করেছি। অপহরণকারীর পরিবার এখন মামলা তুলে নিতে আমাদের হুমকি দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে শরিফের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকুল সরকার বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর থেকেই ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি, দ্রুত তাকে উদ্ধার করা যাবে।’
আপনার মতামত লিখুন :