চট্টগ্রামে কাদের ও তার সমর্থকদের মুক্তি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৬, ২০২১, ৬:৪১ পূর্বাহ্ন / ১৫১
চট্টগ্রামে কাদের ও তার সমর্থকদের মুক্তি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঠানটুলীতে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত বাবুল হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কাদের ও তার সমর্থকদের মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কারাবন্দীদের পরিবার।

আব্দুল কাদের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের করা বাবুল হত্যা মামলায়’ কারাগারে থাকা আব্দুল কাদের ও তার সমর্থকদের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল কাদেরের স্ত্রী নুসরাত জাহান।

বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী নুসরাত জাহান লিখিত বক্তব্যে বলেন, শুরু থেকেই আমার স্বামীকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে নানা হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছিল। যেই ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয় সেদিন আগে থেকেই মগপুকুড় পাড় এলাকায় গণসংযোগ ছিল তার। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর গণসংযোগ করছিলেন মতিয়ার পুলে। সেখান থেকে এসে এক ঘণ্টা ধরে তিনি চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোস্তফা কামাল টিপুর বাসায় অবস্থান নেন। গণসংযোগ করতে করতে আমার স্বামী টিপুর বাসার কাছাকাছি পৌঁছাতেই নজরুল ইসলাম বাহাদুর সেই বাসা থেকে বের হন। তিনি বের হতেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ওই সংঘর্ষে প্রাণ হারান বাবুল।

তিনি বলেন, টিপু একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, খুনী। কদমতলীর হারুন মার্ডার, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের কর্মী সোহেল খন্দকার, আগ্রাবাদে মারুফ চৌধুরী মিন্টু হত্যাকাণ্ডে মোস্তফা কামাল টিপু প্রকাশ কসাই টিপু জড়িত ছিল তা প্রশাসন অবহিত। পরপর এতোগুলো হত্যাকাণ্ডে যার সংশ্লিষ্টতা, বাবুল হত্যাকাণ্ডের আগ মুহূর্তে তার বাসায় কী করছিলেন বাহাদুর?

কাদের পত্নী নুসরাত বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মূলত পরিকল্পিতভাবে বাবুলকে হত্যা করে সেই মামলায় কাদেরকে আসামী করতেই সেদিন সংঘর্ষ বাঁধানো হয়েছিল। যদি আব্দুল কাদের কিংবা তার কর্মী সমর্থকরা এই পরিকল্পনার সাথে জড়িত থাকতো তাহলে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যেত। ঘটনার দিন আত্মরক্ষার জন্য তাহেরা ম্যানশন নামে একটা বাসায় ঢুকে গেট লাগিয়ে দেয় আমার স্বামী ও তার কর্মী সমর্থকরা। সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, এসময় তাদের কাছ থেকে কোন অস্ত্র পায়নি পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশ যাওয়ার আগে জিয়া নামে একজনের নেতৃত্বে কয়েকজন তাহেরা ম্যানশনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে কাদেরকে আক্রমণ করতে চায়। পরে জিয়া অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও কার নির্দেশে হত্যাকাণ্ডের স্থান থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া জিয়াকে ছেড়ে দিল পুলিশ?

কাদেরের স্ত্রী বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কাদেরের সাথে থাকা ওবায়দুর রহমান মিন্টুও গুরুতর আহত হয়েছে। তারা এখনো চিকিৎসাধীন। অথচ বাহাদুরের সাথে থাকা বাবুল ছাড়া অন্য কেউ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। এক্ষেত্রে বাবুল সংঘর্ষে মারা গেছে এই অভিযোগটিও সত্য নয়। বরং পরিকল্পিতভাবে বাবুলকে হত্যা করে সেই হত্যার দায় কাদেরের ঘাড়ে চাপাতেই অত্যন্ত সুচতুরভাবে ওই সংঘর্ষ বাঁধানো হয়েছিল বলে আমরা মনে করছি।