চট্টগ্রামে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ সম্মেলন


প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২১, ৩:০৬ অপরাহ্ন / ১২৭
চট্টগ্রামে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ সম্মেলন
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা, ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, দেশের সিংহভাগ নাগরিকই শ্রমিক-মেহনতি মানুষ। তারা বিভিন্ন দিক থেকেই বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার। ইনসাফপূর্ণ কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং মেহনতি মানুষের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। সেই লক্ষ্যকে ধারণ করেই নিরন্তর কাজ করছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এ পথচলা উত্তরোত্তর গতিশীলতা লাভ করবে।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারী) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কবির আহমদ, চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রশিক্ষণ সম্পাদক আসাদ উল্লাহ আদিল প্রমুখ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, শ্রমিক কল্যাণের পথচলা কখনও মসৃণ ছিল না। শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমাদের বহু মুরব্বি ও সহকর্মীগণ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নিপীড়িত হয়েছেন। তাদের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তাদের ত্যাগ-কুরবানি ও অবদান থেকে প্রেরণা সঞ্চয় করে আমরা সামনে চলার পথকে আরও বিস্তৃত করে নেব। প্রশিক্ষিত, যোগ্য, দক্ষ ও সৎ জনবল ছাড়া সমাজকে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন করা যায় না। ফেডারেশনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সততা ও দক্ষতায় সমুজ্জ্বল হতে হবে। সমাজে আলোকবর্তিকার ভূমিকা পালন করতে হবে। হতে হবে দক্ষ সংগঠক, যোগ্য সমাজকর্মী এবং ত্যাগী নেতা। ব্যক্তিগত চরিত্রকে করে নিতে হবে সততা ও আমানতদারিতার আলোয় আলোকিত। তবেই বাংলাদেশকে একটি ইনসাফপূর্ণ কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে আমরা যথার্থ ভূমিকা রাখতে পারব।
প্রধান আলোচক আতিকুর রহমান বলেন, শ্রমিক সংগঠন হিসেবে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান কাজ শ্রমিক অঙ্গনে। শ্রমিক জনতা তাদের কল্যাণকামীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সবসময়। আমাদের উচিত তাদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাওয়া। বিশাল ও বিস্তৃত শ্রমিক অঙ্গনে কাজের পরিধি বিস্তৃত করতে চাই মজবুত সংগঠন ও পরিকল্পিত কাজ। তাই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলদের যত্মবান হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়। সব মানুষ চাইলেই এ কাজ করতে পারেন না। মানুষের কল্যাণে কেবল তারাই কাজ করতে পারেন, যাদেরকে আল্লাহতায়ালা এ কাজের জন্য বাছাই করেছেন। শ্রমিক জনতার প্রতিশ্রুতিশীল নেতৃত্ব তৈরিতে নিজেদের দুর্বলতা চিহ্নিত করে আত্মসংশোধনে মনোযোগ দিতে হবে। সর্বত্র ও সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।