চাঁদপুর জেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ তেতৈয়া সুন্দরী খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। বিকল্প কোনো উপায় না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো দিয়েই পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন কচুয়া উত্তর ও সদর ইউনিয়নের শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। অনেকেই সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি এই খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তেতৈয়া, খিড্ডা, নাহারা, লতিফপুর, সিংআড্ডা, নোয়াগাঁও এবং সদর ইউনিয়নের রাজাপুর, হোসেনপুর, ঘাগড়া, কোমরকাশাসহ প্রায় ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। খালের ওপর একটি সেতু পাল্টে দিতে পারে যোগাযোগের চিত্র। আমূল পরিবর্তন আসতে পারে দুটি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। সেতু নির্মিত হলে দুটি ইউনিয়নের মধ্যে যোগাযোগের দূরত্ব ও সময় দুটিই কমবে। অনেক জনপ্রতিনিধি এলেও কেউ এই খালে সেতু নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
কচুয়া উত্তর ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া বলেন, একটি ব্রিজের অভাবে বছরের পর বছর ধরে দুই ইউনিয়নের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কৃষকদের রবিশস্য পরিবহনেহিমশিম খেতে হয়। দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবদুল আলী লিটন বলেন, সংশ্লিষ্ট খালের পাশের সড়কটি আইডিভুক্ত হলে সমন্বয় করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে ওই খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :