রাজশাহীতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাষণ প্রচার করে পদ হারালেন অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ। তিনি তানোর উপজেলার সরকারি আবদুল করিম সরকার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো তাকে পদচ্যুত করেছেন।
লিখিত আদেশে বলা হয়, দায়িত্ব ও প্রশাসনিক কাজে অবহেলারকারণে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল আজিজকে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে তার পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হলো। এই আদেশ কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আবদুল আজিজকে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এই কলেজে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পরিবর্তে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাষণ প্রচার করা হয় মাইকে। এ ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে এটি ভুলবশত হয়েছে বলে দাবি করেন কলেজের সদ্য অপসারিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বিজয় দিবসের সকালে শিক্ষক-কর্মচারীরা কলেজ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ওই সময় কলেজের নিজস্ব সাউন্ড সিসটেমে বাজতে শুরু করে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাষণ। বিষয়টি প্রথমে কেউই খেয়াল করেনি। তবে পাশের গোল্লপাড়া বাজারে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাষণ শুনে কলেজে ছুটে এসে সেটি বন্ধ করেন।
কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল জানতে চাইলে কলেজের সদ্য অপসারিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ বলেন, মঙ্গলবার কলেজের পিয়ন আরিফ ও ফুলকুমারকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একটি মেমোরি কার্ডে লোড করে আনতে স্থানীয় মাইক সার্ভিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পরিবর্তে জিয়াউর রহমানের ভাষণ দেয়া হয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, সরকারি আবদুল করিম সরকার কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ আগে তানোরের তালন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কিছুদিন আগে তাকে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :