কক্সবাজারের টেকনাফে মৎস্য ঘেরে ডেইরী ফার্মের বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে মৎস্য খামার ধ্বংসের পায়তারায় উদ্বেগ জানিয়েছেন
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও হিউম্যান রাইটস্ ডিফেন্ডার্স ফোরাম কক্সবাজার।
শুক্রবার (২১ মে) বাপা’র কক্সবাজার জেলা সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শক দলে ছিলেন প্রথম আলো কক্সবাজার অফিস প্রধান আবদুল কুদ্দুস রানা, হিউম্যান রাইটস্ ডিফেন্ডার্স ফোরাম
কক্সবাজার এর আহবায়ক এডভোকেট অরূপ বড়ুয়া তপু, যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আবদুল শুক্কুর।
বাপা কক্সবাজার সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, সাংবাদিক অজিত কুমার দাশ হিমু।
নেতৃবৃন্দ টেকনাফ থানা অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান ও পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার এর উপপরিচালক শেখ মোঃ
নাজমুল হুদার সাথে কথা বলে মৎস্য খামার সংলগ্ন ডেইরী ফার্মটি উচ্ছেদের দাবী জানান।
ভুক্তভুগি মৎস্য খামারের মালিক মংবুরী রাখাইন ৩জনকে অভিযুক্ত করে টেকনাফ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মংবুরী রাখাইন জানান, বহু অর্থ ব্যয়ে নিজ স্বত্ব দখলীয় জমি ও সরকার হতে বন্দোবস্তী প্রাপ্ত জমিতে মৎস্য খামার গড়ে তুলি।
কিন্তু সংঘবদ্ধ মাস্তান, সন্ত্রাসী প্রতিহিংসা পরায়ন প্রকৃতির হোয়াইক্যং ইউপি’র পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া, ৮নং ওয়ার্ডের মৃত
বাঁচা মিয়ার ছেলে সৈয়দ করিম (৩০) এর নেতৃত্বে, আবদু শুক্কুরের ছেলে আবুল কালাম (৩৫) ও বাদশা মিয়া (৩২)
স্বপরিবারে মায়ানমারে চলে যাওয়া জনৈক মং চালু চৌধুরী এর জমিতে এস করিম ডেইরী ফার্ম নাম দিয়ে গরুর ফার্ম গড়ে।
ওই ফার্মের বিষাক্ত বর্জ্য আমার মৎস্য খামারে পড়ে গত বছর প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মাছ মারা যায়।
এই বিষয়ে ভুক্তভুগী মংবুরী রাখাইন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করলে
পরিবেশ অধিদপ্তর সরেজমিনে তদন্ত করে সৈয়দ করিমকে তিনটি নির্দেশনা দিয়ে চলতি বছরের ২২ মার্চ এর মধ্যে গরুর ফার্মের
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করে প্রমানক দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশনাপত্র পাওয়ার পরও তারা কোন কার্যকরী বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট তৈরী করে নাই, শুকনো গোবর সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেন
নাই এবং আবদ্ধ ড্রেইন স্থাপন করেন নাই।
এ অবস্থায় উপরোক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন
মংবুরী রাখাইন।
আপনার মতামত লিখুন :