সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোসেন এবং টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম জানান, শুক্রবার (১ জানুয়ারী) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) খোরশেদ আলম বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ইয়াবা ও মানব পাচারকারী তালিকাভুক্ত। পুলিশ নিহত ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।উসমান সিকদারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় একটি ইজিবাইক (টমটম) চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এর প্রতিবাদ করেন উসমান সিকদার। এ সময় উপজেলার সাবরাং নয়াপাড়া বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ওরফে খুলু মেম্বারের ছেলে মোহাম্মদ শাকের ও কাটাবনিয়ার মোহাম্মদ কাসিমের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ অতর্কিতভাবে উসমান সিকদারের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে আহত করেন। এরপর উসমান সিকদার বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনার সূত্র ধরে আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে গুলি করে হত্যা করেন। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উসমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আয়ুব হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগে উসমান সিকদার মারা গেছেন। তার বুকে, পেট ও পিঠে তিনটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :