ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ


সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৮, ২০২১, ১২:৪৫ অপরাহ্ন / ৩৩৮
ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে সাকিব নূর মুবিন নামের এক স্কুল শিক্ষক তার বাবাকে ভর্তি করে বুধবার (২৭ জানুয়ারি)।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারী) সকালে সাড়ে দশটার সময় রক্ত পরীক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে ছয় তলায় যেতে চাইলে ঝাড়ুদাররা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে না দিলে লিফট দিয়ে ছয় তলায় উঠতে চেষ্টা করে। এসময় লিফটে থাকা পূর্ব গোয়াল পাড়া নিবাসী ওয়ার্ড বয় জিয়া তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।

পরবর্তীতে রোগীর স্বজন পায়ে হেঁটে ছয় তলায় বাবার কাছে গিয়ে ওয়ার্ডবয় জিয়াকে দেখলে তার কাছে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে জিয়া আবারও তাকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন।

এক পর্যায়ে মুবিনের বড় ভাই স্টেশন মাস্টার উইন জিয়ার কাছ থেকে তার ছোট ভাইকে ছাড়িয়ে নেন।যাওয়ার সময় জিয়া হুমকি দেয় যে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় আবারও তাকে হামলা করবে।

পরবর্তীতে ওয়ার্ড বয় মাস্টার সাজু বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সাকিবকে তার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে জিয়াসহ উভয়পক্ষের কথা শোনার সময় আবারো জিয়া উত্তেজিত হয়ে সাকিবকে প্রথমে পেটে লাথি দেয় এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও মারধর শুরু করে।

রোগীর স্বজন শাকিব মুবিন বলেন, আমি তাকে শুধু বলেছি আমাকে লিফট থেকে ধাক্কা দিয়ে না বের করে এমনি বললেইতো আমি বের হয়ে যেতাম। এই কথা শুনার পর আবারও উত্তেজিত হয়ে সে আমাকে সকলের সামনে কলার ধরে মারতে আসে। আমাকে বাইরে বের হয়ে আক্রমণের হুমকি দিলে আমি তৎক্ষণাৎ বিষয়টি ওয়ার্ড মাস্টার সাজুকে জানালে সাজুর পরামর্শে সাজুর চেম্বারে গেলে সেখানে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও গলা টিপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে।

তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ নাদিরুল আজিজ ও সিভিল সার্জনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানায়ও অভিযোগ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

শাকিব বলেন, জিয়া আমাকে ফোনে বারবার হুমকি দিচ্ছে, সে স্থানীয় ছেলে, এমপি তার খুব কাছের লোক। আমি যেন কোথাও অভিযোগ না করি । অভিযোগ করলে পাল্টা আমার নামে মিথ্যা মামলা করে ফাঁসিয়ে দেবে। পরবর্তীতে মুবিনের পিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে রংপুরে স্থানান্তর করা হয়।

ভুক্তভোগির পিতা আব্দুল হামিদ জানান, আমি এখানে সেবা নিতে এসেছি কিন্তু এভাবে আমার সামনে আমার সন্তানকে মারধর করায় খুব কষ্ট পেয়েছি। আমার ছেলে অত্যন্ত ভদ্র স্বভাবের তার সাথে এরকম আচরণ করা ঠিক হয়নি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।