ঠান্ডায় কাঁপছে ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষ


সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩১, ২০২১, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন / ৩১৭
ঠান্ডায় কাঁপছে ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষ
রাতে ঘন কুয়াশা আর দিনে সূর্যের উত্তাপ না থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। টানা ১২ দিনের মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষজন। ঠাণ্ডায় কাজে যেতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
গত কয়েকদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের মুখ তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। সকাল থেকে দুপুর ১২-১টা পর্যন্ত চারদিক কুয়াশা আচ্ছন্ন থাকছে। রাতে টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝড়ছে। রাত ৮-৯টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বাজার ও রাস্তাঘাট। ঘন কুয়াশায় বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। ফলে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করতে দেখা যায়। প্রচণ্ড শীতে চরম অসুবিধায় পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দুস্থ ও অসহায় মানুষজন গরম কাপড়ের অভাবে খড়-কুটায় আগুন জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
প্রচণ্ড ঠান্ডায় কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
এদিকে, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রত্যহ শতাধিক রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় রোগীদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট চিকিৎসক ডা. শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, এই শীতে স্রোতের ন্যায় শিশু রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা দিতে আমাদের চিকিৎসক ও নার্সরা হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় তিনি শিশুদের গরম কাপড়ে মুড়ি দিয়ে রাখার অভিভাবকদের যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।
 এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নে শতাধিক ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষর মাঝে শতিবস্ত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক ড কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার কম্বল ও ৩০ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি শীতার্তদের সহযোগিতায় ধনাঢ্য লোকজনকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।