রাজশাহীর তানোর উপজেলায় তানোর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে তানোর থানায় অভিযোগের প্রক্রিয়া চলছিল।
মিজান জানান, গত বিজয় দিবসে তানোর আবদুল করিম সরকার ডিগ্রি কলেজে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাষণ বাজানো হয়। এ নিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অব্যহতি দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অন্য একজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এই সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
মিজান আরও জানান, রাত ৮টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রতাপ সরকার তাকে ফোন করে দলীয় কার্যালয়ে ডাকেন। তিনি গিয়ে সেখানে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না এবং ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কারসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে দেখতে পান। মিজান সেখানে যাওয়ামাত্র আওয়ামী লীগ নেতা প্রতাপ সরকার তার ওপর চড়াও হন। সঙ্গে সঙ্গে ৮-১০ জন নেতাকর্মী তাকে মারধর শুরু করেন। সাংবাদিক মিজান সেখান থেকে কোনরকমে পালিয়ে থানায় যান। এরপর তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তানোরের সিনিয়র সাংবাদিক সাঈদ সাজু বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা আমরা মেনে নেব না। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার দাবি নিয়ে আমরা থানায় এসেছি।
এদিকে সাংবাদিক মিজানের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরামের রাজশাহী জেলা ককাস। রাতেই জেলা ককাসের সাধারণ সম্পাদক রিমন রহমান স্বাক্ষরিত এক এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি আইনগত বা অন্য যে কোন সহায়তার জন্য সাংবাদিক মিজানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :