সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে নকল বিড়ির সয়লাব। সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া ওইসব নকল বিড়ির বিক্রি হচ্ছে যেন অনেকটাই খোলামেলাভাবেই। যে কারনে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ।
অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা লাভের আশায় সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেদারচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এ ব্যবসা। নকল বিড়ি ও নকল ব্যান্ডরোলে মুড়ানো নকল বিড়ির কারণে একদিকে সরকারকে কর দিয়ে আসা বিড়ি কারখানাগুলো তাদের বাজার হারাচ্ছে। অপরদিকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
তাহিরপুর উপজেলার তাহিরপুর সদর বাজার, বাদাঘাট বাজার, আনোয়ারপুর বাজার, বালিজুরি বাজার, কাউকান্দি বাজার, বড়ছড়া বাজার, লাউড়েরগড় বাজার, একতা বাজার, জনতা বাজার, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, দয়াল বিড়ি, আজিজ বিড়ি, সাব্বি বিড়ি, রকেট বিড়ি, মতি বিড়ি, গোলাপ বিড়ি, আনার বিড়ি, মায়া বিড়ি, শাকিল বিড়ি, তারেক বিড়ি, গ্রামীন বিড়ি প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে একটি করে সরকারের ভ্যাট স্টিকার দেওয়ার কথা থাকলেও কয়েকটি কোম্পানীর বিড়ির প্যাকেটের গায়ে নকল ভ্যাট স্টিকার দেওয়া আছে বলে অভিযোগ রয়েছে সরকারকে রাজস্ব দেয়া কোম্পানি গুলোর। যে কারণে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
সম্প্রতি উপজেলার বাদাঘাট বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে গিয়ে দেখা যায় দয়াল কোম্পানীর দয়াল বিড়ির প্যাকেটের গায়ে যে সরকারী ভ্যাট স্টিকার দেওয়া আছে সেটি নকল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতৃক অনুমোদনকৃত ভ্যাট স্টিকার নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আকিজ বিড়ি কোম্পানীর এক ম্যানেজার জানান, বাজারের বিভিন্ন দোকানে নকল ব্যান্ডের দয়াল বিড়ি, সাব্বির বিড়ি, রকেট বিড়ি, মতি বিড়ি, গোলাপ বিড়ি কম দামে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বাজারে ভালো কোম্পানী গুলোর বিড়ির চাহিদা থাকছে না। এবং সরকার হারাচ্ছে প্রতি মাসে বিপুল পরিমান রাজস্ব । সরকার প্রতিটি বাজারে যদি মনিটরিং করে অভিযান চালায় তাহলে এই নকল বিড়ির উৎপাত কমবে।
আপনার মতামত লিখুন :