দৌলতপুরে সরকারি জমিতে ইটভাটা


সংবাদদাতা, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২২, ২০২০, ৮:২৪ পূর্বাহ্ন / ১৯৯
দৌলতপুরে সরকারি জমিতে ইটভাটা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সরকারি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করার চার বছর পার হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, ২০১২ সালে উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের ৭৮ নং সোনাইকান্দি মৌজার ৮৮ ও ১ নং খতিয়ানভুক্ত ১৩১, ২৬৩ ও ২৬৭ দাগের ৬ একর ৫৬ শতাংশ জমির উপর নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করেছেন।

এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে আব্দুল জলিল খান অবৈধভাবে ইটভাটা উচ্ছেদ করে সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন। পরে তদন্ত করে সরকারি সম্পত্তিতে ইটভাটা স্থাপন করার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোঃ মোস্তফা কামাল সোনাইকান্দি মৌজার ওই জমির মধ্যে ৩ একর ২২ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি সরকারি দখল গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এবং ওই সম্পত্তি দখল গ্রহণ নিশ্চিত করতে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট চিঠিও পাঠানো হয়। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিযোগকারী আব্দুল জলিল খান জানান, দীর্ঘদিনেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ইটভাটা মালিক নজরুল ইসলাম জানান, ওই জমির মালিকানা দাবি করা রিফাইতপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন সরকারের থেকে তিনি লিজ নিয়েছেন। এবং ২০১৩ সালে এই জমি নিয়ে গিয়াস উদ্দিন সরকার হাইকোর্টে রিট করেছেন। যে কারণে জমিটিতে তিন মাসের স্থগিতাদেশ ছিল।

এলাকাবাসী জানায়, ২০১২ সালে ওই সরকারি খাস জমিতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও এফএম বেতার স্টেশন তৈরির জন্য তৎকালীন সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন আহমেদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পেশ করলে তা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপর গিয়াস উদ্দিন সরকার তা বন্ধের জন্য হাইকোর্টে রিট করেন। এরই মধ্যে সেই জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে ওঠে। গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘ চার বছরেও ওই রিট পিটিশনটি নিষ্পত্তি করেননি। সে পুনরায় ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল রিট পিটিশনের একটি কপি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছে। যার সময়সীমা ওই বছরের ১৭ অক্টোবর শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, ওই সরকারি সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা ছিল। তাই কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তবে, লোকালয়ে ইটভাটা স্থাপন করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।