বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার তিরোইল গ্রামের একটি বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করার বিষয়টি পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা নিশ্চিত করেন।
পরে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় গুরুদাসপুর থানায় প্রেস বিফ্রিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত শাকিলা বড়াইগ্রাম উপজেলার তিরোইল গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী।
গত ২৩ ডিসেম্বর বুধবার সকালে সীমা খাতুন ঠান্ডাজনিত সমস্যার কারণে তার দুই মাসের শিশু কন্যা তাইবাকে সাথে নিয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখানোর জন্য আসেন। এ সময় বহির্বিভাগে লাইনে অনেক ভিড় থাকায় পাশে থাকা অজ্ঞাত বোরকা পরা এক মহিলা সীমা খাতুনকে আপা বলে সম্মোধন করে বাচ্চাটিকে তার কোলে দিয়ে ডাক্তার দেখাতে বলে। এ সময় সীমা সরল বিশ্বাসে তার শিশু কন্যাকে ঐ মহিলার কাছে দিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য যান। কিছু সময় পর সীমা খাতুন ফিরে এসে দেখেন অজ্ঞাত মহিলাসহ শিশুকন্যা তাইবা সেখানে নেই। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়া গেলে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে অবহিত করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্টসহ অভিযানে নেমে শিশুকন্যাকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে। অভিযানের এক পর্যায়ে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার তিরোইল গ্রামের একটি বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :