পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনায় সালিশে কিশোরীকে জোর পূর্বক বিয়ে, তালাক দেয়া এবং প্রেমিক যুবককে
বিষ খাইয়ে মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) সকালে প্রেমিক রমজান হাওলাদারের বড় ভাই হাফেজ মো. আল ইমরান বাদী হয়ে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
আদালতে কিশোরী কন্যা নাজমিন আক্তারের জন্ম সনদ এবং রমজান হাওলাদারের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিজ্ঞ বিচারক মো. জামাল হোসেন মামলাটি গ্রহণ করে জেলা পিবিআই প্রধানকে তদন্ত করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা সুলতান হাওলাদারের ছেলে মো.
রমজান হাওলাদারের (১৭) সাথে ওই গ্রামের দুলাল হাওলাদরের মেয়ে নাজমিন আক্তারের (১৩) প্রেমের সর্ম্পক চলছিল।
যেহেতু কন্যা নাবালিকা তাই প্রাপ্ত বয়স্ক হইলে তাদের দু’জন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে মর্মে পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার গত শনিবার রাত ৮টার দিকে চুনারপোল এলাকার নাজমিনের বাড়িতে বসে জোর পূর্বক নাজমিনকে বিবাহ করেন ।
আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রথমত তিনি কন্যা নাবালিকা জেনেও জোর পূর্বক তাকে বিয়ে করেন এবং রমজান হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন এবং বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তালাকনামা সৃষ্টি করেন।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ তার ৫ সহযোগী এবং নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী মাওলানা মো. আইয়ুবকে আসামি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :