পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন


প্রবাসে বাংলা ডেস্ক, অধিকার কণ্ঠ প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৭, ২০২০, ১:৫৭ অপরাহ্ন / ৩৩৬
পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন, পর্তুগাল। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির ফলে পর্তুগাল সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সীমিত পরিসরে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও তাদের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে সীমিত পরিসরে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

দ্বিতীয় পর্বে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভার শুরুতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণীপাঠ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবসের তাৎপর্যবাহী একটি ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা মহান বিজয় দিবসের গুরুত্বের পাশাপাশি বিজয় দিবসের তাৎপর্যের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো ২ লক্ষ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে বলেন, বিজয়ী দেশের মুক্ত পরিবেশে মানুষের মেধা আর শ্রমকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিশেষভাবে, গত এগারো বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি বিশ্বময় স্বীকৃত। সেই সাথে করোনা মহামারীর মধ্যেও গত অর্থবছরে ৫% শতাংশের বেশী প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ একটি দৃষ্টান্ত তৈরী করেছে। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের গৌরবকে ধারন করে বিদেশের মাটিতে নিজেদের উন্নত আচরণ আর কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান। সেই সাথে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর সংবিধানবিরোধী যেকোন অপশক্তির বিরুদ্ধে সকল সচেতন নাগরিকের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আলোচনা পর্ব শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।