বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলা ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মধ্যবর্তী বলেশ্বর নদের দুই পারের মানুষের সহজ যোগাযোগের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ফেরি চলাচল। অবশেষে সেই স্বপ্ন পুরণ হতে চলেছে। শিগগিরই চালু হবে বলেশ্বর নদের রায়েন্দা-বড়মাছুয়া পয়েন্টে ফেরি চলাচল।
ইতোমধ্যে মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়ায় সংযোগ সড়ক ও পন্টুন ঘাট থেকে ওঠার পথের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শরণখোলার রায়েন্দা ঘাট ও সংযোগ সড়কের কাজের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রায়েন্দা ও বড়মাছুয়া রুটে ফেরি চালু হলে শরণখোলা ও মঠবাড়িয়ার মধ্যে একটা সেতুবন্ধন তৈরী হবে। অ্যনেকটা সহজ হবে মোংলা ও পায়রা বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাছাড়া, শরণখোলা ও মোরেগঞ্জের মানুষ খুবই অল্প সময়ে যেতে পারবে পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনাতে। একইভাবে মঠবাড়িয়ার মানুষের শরণখোলা হয়ে মোংলা ও খুলনায় যাতায়াতের পথও সুগম হবে।
জানা গেছে, এই ফেরি স্থাপনে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ) আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সাংসদ ডা. রুস্তম আলী ফরাজী এবং সাবেক রেল সচিব মোফাজ্জল হক মন্টুর বিশেষ অবদান রয়েছে। এছাড়া, প্রথম দিকে বাগেরহাট-৪ আসনের প্রয়াত সাংসদ ডা. মোজাম্মেল হোসেন এই ফেরি চালুর উদ্যোগ গ্রহন এবং তা বস্তবায়নের কাজ অনেকটা এগিয়ে রেখে যান। তাদের প্রচেষ্টায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে জনগুরুত্বপূর্ণ রায়েন্দা-বড়মাছুয়ার এই ফেরি সার্ভিস চালুর অনুমোদন দেয় সরকার।
এব্যাপারে শরণখোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার হেমায়েত উদ্দিন বাদশা ও সমাজসেবক এম ওয়াদুদ আকন জানান, রায়েন্দা-বড়মাছুয়া ফেরি চালু হলে দুই উপজেলার মানুষের মধ্যে একটা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নও তরান্বিত হবে। ঝুঁকিপূর্ণ খেয়া পারাপারের খোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে মানুষ। দুই উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পুরণ করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারা।
বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, ফেরি চলাচলের জন্য ৬ জানুয়ারি শরণখোলা অংশের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। কাজের মধ্যে রায়েন্দা ঘাট থেকে পাঁচরাস্তার বাদল চত্বর পর্যন্ত ৭৭৫মিটার ১৮ফুট প্রসস্ত মূল সড়ক কার্পেটিং এবং ঘাট থেকে পন্টুনে ওঠার ১২০মিটার কথ ও গ্যাংওয়ে নির্মান করা হবে। যার সম্ভব্য ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি ৬ লাখ টাকা।
ইতোমধ্যে মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া খালের উত্তরপাশে ঘাটের স্থান নির্ধারণ করে ৮৩লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০মিটার সড়ক ও পন্টুন থেকে ওঠার পথ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জুনের মধ্যে সমস্ত কাজ সমাপ্ত হবে
আপনার মতামত লিখুন :