বিক্রি হচ্ছেনা আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ গত আট দিনেও বিক্রি হয়নি। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ রাখা হয়েছে গুদামে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ৬০ থেকে ৬৫ টাকা পড়লেও পাইকার দাম বলছেন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

এতে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা ব্যবসায়ীর। বর্তমানে হিলি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরএসবি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আহম্মেদ আলী সরকার বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ৪০% শুল্কে গেল ১৫ মে ভারত থেকে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজে দুই দেশ মিলে প্রায় ৫ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। যে টাকায় আমদানি করেছি সে দামে বিক্রি না হওয়ায় গুদামে রাখা হয়েছে। যদি সরকার ডলার মূল্য এবং শুল্ক কমিয়ে দিতো তাহলে আমরা বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারতাম, সেই সঙ্গে কমে যেত দাম। পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ার কারণে আমরা লোকসানে পড়েছি। অনেক পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি শাহীনুর রেজা বলেন, ভারত সরকার যদি পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে অথবা শুল্কের পরিমাণ না কমায়, তাহলে কেউই লোকসানের ভয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবেন না। এবিষয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন পাঠাতে দুই দেশের আমদানি ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।