বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি


মোঃ আবদুর রশিদ, অধিকার কণ্ঠ প্রকাশের সময় : মার্চ ১৭, ২০২৪, ১:৪১ পূর্বাহ্ন /
বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক সময় প্রায় প্রতিটি পরিবারে ধান-চাল গুড়ো করার ঢেঁকির প্রচলন ছিল। পরিবারের নারীরা ধান, গম, ভুট্টা, চালসহ বিভিন্ন শস্য ভাঙার কাজ ঢেঁকিতেই করতেন। বিশেষ করে নবান্ন উৎসব পৌষ পার্বনসহ বিশেষ অনুষ্ঠানে পিঠা-পুলির জন্য ঢেঁকিতে নতুন চালের গুড়ো তৈরীতে ধুম পড়ে যেত। গ্রামের বধূদের ধান ভাঙার গান আর ঢেঁকির ছন্দময় শব্দে চারিদিক মুখরিত হতো।

কালের বির্বতনে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ‌্য ঢেঁকি। এখন আর নবান্ন উৎসব, পৌষ পার্বন কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে ঢেঁকিতে ধান ও চাল ভাঙার শব্দ শুনা যায় না।

অনেক পরিবার ঢেঁকিতে চাল ভাঙিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ঢেঁকিতে ভাঙা চাল খুব সুস্বাদু ও পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় ওই চালের খুব কদর ছিল। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় মেশিনের কারণে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি বিলপ্তির পথে। গ্রাম-গঞ্জে এখনো দু-একটি বাড়িতে ঢেঁকি দেখা গেলেও ভবিষ্যতে ঢেঁকির প্রচলন থাকবে না বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এলাকার বয়োবৃদ্ধরা বলেন- একসময় এই অঞ্চলে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার ব্যাপক প্রচলন ছিল। ঢেঁকি ভাঙার চালের ভাত অনেক পুষ্টি ও সুস্বাধু ছিলো। এখন মেশিনের ধান ভাঙার চালে ও ভাতে কোনো স্বাদ নেই। বিভিন্ন উৎসবের সময় প্রতিটি বাড়িতে গভীর রাতে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার শব্দ শুনা যেত। কিন্তু আধুনিক যন্ত্রপাতির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি। দু-একটি বাড়িতে ঢেঁকি দেখা গেলেও তা অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে।