কিনান জানিয়েছেন, ‘প্রতিদিন খুব ভোরে ওঠা আমার অভ্যাস। সেই অভ্যাসের জন্য এই রেকর্ড গড়তে পারলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তখনও জানতাম না, ট্রায়ালের বাইরে আমিই প্রথম এই টিকা নিচ্ছি। পরে অবশ্য রেকর্ড সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখনও সুস্থই আছি।’ জানা গিয়েছে, স্থানীয় হাসপাতালে নার্স মে পার্সনস তাকে এই ভ্যাকসিন দেন। সেই নার্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে কেনানের পরামর্শ, ‘যাদের প্রয়োজন তারা ভ্যাকসিন নিন। ৯০ বছর বয়সে আমি এই টিকা নিয়েছি। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
তিনি বলেছেন, প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ঠিকা পাওয়াটা অবশ্যই আনন্দের। তবে তার চেয়ে বেশি খুশি লাগছে জন্মদিনের আগে এ রকম একটি উপহার পাওয়ায়। আর এক সপ্তাহ পরেই আমার একানব্বইতম জন্মদিন। আমার জীবনের অধিকাংশ সময় পরিবারের সাথে কাটিয়েছি। আগামি নতুন বছরের অনুষ্ঠানটিও পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে কাটাতে ভালো লাগবে।
নিবিরভাবে পরিচর্যা করার জন্য তিনি হাসপাতালের নার্স মে পারনস এবং অন্যান্য কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল যে কেউ এই ঠিকা নিতে পারবে। এমনকি আমার বয়স নব্বই হলেও এতে কোনো বাধা নেই বলা জানানো হয়েছিল।
মার্গারেট কিনান চার বছর আগে পর্যন্ত একটি জুয়েলারির দোকানে সহকারি হিসেকে কাজ করতেন। টিকা গ্রহানের পর তিনি যদি পূর্ণ সুস্থতা অনুভব করেন তবে আগামী ২১দিনের মধ্যে তিনি একটি নতুন চাকরি পাবেন।
সূত্র : স্কাই নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :