বোয়ালখালীতে জায়গা দখলে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত-১০


সংবাদদাতা, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২১, ৮:২৩ পূর্বাহ্ন / ৪৭৭
বোয়ালখালীতে জায়গা দখলে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত-১০

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে চলাচলের সড়কের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলা সদরের কলেজ গেইট এলাকায় পুলিশ, জনতা ও দখলকারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন, মর্জিনা বেগম (৪০), ইসরাফিল (৪৫), আবদুল মান্নান (২৭), মো. ইসমাম (১৪), ছেনোয়ারা বেগম (৭৫), আলী হায়দার রাব্বী (২৫), নাসির উদ্দিন (২৭), গোলাম মোস্তাফা (৩৫) মোরশেদ আলম (৩২) শেখ শহিদুল আলম (৩৮), একরামুল হক মুন্না (২৪)।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, উপজেলা সদরের প্রায় ২’শ বছরের পুরানো হাবিলদার বাড়ীর সড়কটির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্যের সাথে। সড়কটি দখল নিতে একাধিকবার সংঘাত ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তিনজনকে বিবাদী করে গত ১১ ফেব্রুয়ারী বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট চট্টগ্রাম দক্ষিণের আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন মো. জসিম উদ্দিন।

বিজ্ঞ আদালতের আদেশ পেয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী নালিশী ভূমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নোটিশ করা হয়।

নোটিশ পাওয়ার পর বুধবার সকালে বিবাদীরা সড়কের পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে এলাকার লোকজন বাধা দেয়।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হট্টগোল বেধে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ লেগে যায়।

এ সময় পুলিশ, জনতা ও দখলকারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নারী, শিশুসহ অন্তত ২০-২৫জন আহত হন। এদের মধ্যে উভয় পক্ষের ১০-১২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

অভিযোগকারী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সড়কের জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এটি তাদের ২’শ বছরের পুরানো চলাচলের রাস্তা। সড়কটি দখলে নিতে চাইলে এলাকার লোকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।

থানা পুলিশের কাছে সহযোগীতা চাইলে পুলিশ কোন প্রতিকার না করে জায়গা দখল করতে এসব সন্ত্রাসীদের সহযোগীতা করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, আহত হয়ে হাসপাতালে গেলে সন্ত্রাসীরা সেখানেও তাদের উপর হামলে পড়ে চিকিৎসার কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। বিকালে তার ভাই মো. ইদ্রিস আবার হামলার শিকার হয়ে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: মো. জিল্লুর রহমান বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। চিকিৎসা নেয়ার অধিকার সবার আছে বলে জানান।

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নালিশী ভূমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে আইনগত যা ব্যবস্থা নেয়ার তা পুলিশ নিয়েছে। সকালের ঘটনার পর পুলিশ সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে কি হয়েছে এ বিষয়ে তিনি অবগত নন বলে জানান।