ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত, ৩ টি দোকান ও প্রায় ২০টি ঘর ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার ও সোমবার (৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী) দুই দফা উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাবুরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চতুল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং যুবলীগ নেতা শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটুর পক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় বাবুরবাজারে নির্বাচনী সভা হওয়ার কথা ছিল। এসময় অপর সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম পক্ষের হাসমত শেখ তার অনুগতদের নিয়ে ওই সভা বানচাল করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
এসময় উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালীন ৩ টি দোকান ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এতে দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে হাসমত শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া পোয়াইল গ্রামের রবিউল মোল্যা, আবজাল মোল্যা, উজ্বল শেখ, জামাল মাতুব্বরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনার জের ধরে পরদিন সোমবার সকালে হাসমত শেখের সমর্থকরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের বাড়িসহ প্রায় ২০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে মিন্টু মোল্যা নামে অপর একজন আহত হয়।
সিরাজুল ইসলামের ভাতিজি লাইজু বেগম জানান, সোমবার সকালে অতর্কিতভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করেন।
এ ব্যাপারে চতুল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটু বলেন, আমার একটি নির্বাচনী সভা এবং সভা শেষে গণসংযোগ হওয়ার কথা ছিল। অথচ প্রতিপক্ষের লোকেরা আমার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বানচাল করেছে। আমার লোকেরা বাধা দিলে তাদের বেধড়ক মারধর করেছে এবং ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। একজনকে আটক করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :