মহেশখালীতে নাজু বাহিনী প্রধান বিদেশ পালাতে মরিয়া


সংবাদদাতা, মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২১, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন / ১২৮
মহেশখালীতে নাজু বাহিনী প্রধান বিদেশ পালাতে মরিয়া

কক্সবাজারের মহেশখালীতে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান।  পুলিশ ও র‌্যাবের তালিকা সমন্বয়ে চলছে এই সর্বাত্মক অভিযান।

এরপর নড়ে চড়ে বসেছে উপজেলার সন্ত্রাসীরা। তারমধ্যে কালারমারছড়া মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের জেল ফেরৎ মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র নাজু বাহিনী প্রধান নাজু ও তার সাম্রাজ্য। গা-ঢাকা দিয়েছে চলমান আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় আত্মসমর্পণ না করা ছুনোপুঁটিরাও।

এছাড়াও মহেশখালীতে জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগররা সরকারের ডাকে সাঁড়া দিয়ে দুই দফা আত্মসমর্পণ করলেও এক সময়ের হত্যা, ডাকাতি, মারামারিসহ অর্ধডজন মামলার আসামী আলোচিত নাজু বাহিনীর প্রধান নাজু কৌশলে বিদেশ ফাঁড়ী জমান। তার বাহিনীর সদস্যদের অন্যতম কালা জাহাঙ্গীর সহ অনেকে দস্যুতা ছেড়ে নিজের ভূল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে কারাভোগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে। এর পরেও নাজু আত্মসমর্পণের আত্ততায় আসেনি।

ফলে জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নাজু (সাবেক মেম্বার) ক্ষমতার দাপটে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাহিনীর প্রধান থেকে মেম্বার নির্বাচিত হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে এলাকায়।

অপরদিকে, মধ্যেখানে বিদেশ চলে গেলেও সুযোগ বুঝে দেশে ফিরে আসেন। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে ফের বিদেশ ফাঁড়ী দিতে তার নামে পাসপোর্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়।

জানাযায়, নাজু ছাড়াও মহেশখালী ছেড়ে পালাচ্ছে অনেকে। ফলে রাঘববোয়াল ধরতে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আস্তানায় চালানো অভিযানে এখন অনেক ক্ষেত্রেই ধরা পড়ছে চুনোপুঁটি। সন্ত্রাস ও মাদক কারবার করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া সন্ত্রাসীদের অনেকের বিদেশে থাকার নিরাপদ স্থানও রয়েছে। তাদের কেউ কেউ এরই মধ্যে সেসব দেশে সটকে পড়েছে। প্রাণে বাঁচতে তাদের অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে।

স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করে শর্তে বলেন, এক সময়ের আলোচিত নাজু বাহিনীর প্রধান নাজু বোল্ট পাল্টাতে বিদেশ ফাঁড়ী জমান মাঝে মধ্যে। তার একটি সিন্ডিকেট থাকায় তাকেও আত্মসমর্পণের আওতায় আনা দরকার বলেও জানান।

মহেশখালীর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মামলা থাকলে সেটা আমরা খতিয়ে দেখি আর নাজুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।