কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর বনবিটের সাবেক নৌকা চালক মমতাজ মিয়াকে বিগত ২০২০ সনের ৫ নভেম্বর শাপলাপুর বিট থেকে অব্যাহতি দিয়ে পরবর্তী কর্মস্থল পোকখালী গোরকঘাটা রেঞ্জে এক আদেশে বদলী করা হয়। কিন্তু তিনি এখনো উক্ত কর্মস্থলে যোগদান না করার অভিযোগ উঠেছে।
অদ্যবদি যোগদান না করে সরকারী বিধি লঙ্গন করে চলছে। তিনি পূর্বের কর্মস্থল শাপলাপুর বিটে অবস্থান করে বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া ও এক শ্রেণী কথিত গণমাধ্যমে মনগড়া তথ্যদিয়ে শাপলাপুর বিট অফিসারের ব্যাপারে বিভিন্ন মানহানিকর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে মমতাজ মিয়া।
এতে শাপলাপুর হোয়ানক ও কালারমারছড়া সচেতন মহলের মধ্যে এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, মমতাজ মিয়া শাপলাপুর বনবিটে থাকাকালে বন কর্মকর্তার অঘোচরে গাছ চোরদের সাথে আতাঁত করে বিভিন্ন জাতের গাছ পাচার করেছে। সে গাছ পাচারের লোভ সামলাতে না পেরে বর্তমান শাপলাপুর অবস্থান করে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেননি। এতে জনমনে নানার প্রশ্ম সৃষ্টি হচ্ছে আর বনবিভাগের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
এছাড়াও শাপলাপুর বনবিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে বেঘাত ঘটছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বনবিভাগ।
শাপলাপুর বিট অফিসার রাজিব ইব্রাহিম বলেন, মমতাজ মিয়া শাপলাপুর বিভিন্ন দোকানে গাছ চোরদের নিয়ে আড্ডা জমিয়ে এলাকায ঘুরাফেরা করে। এবং তাকে খোঁজতে গেলে আত্মগোপনে চলে যায়।
তিনি আরোও বলেন, নিজ কর্মস্থলে যোগদান না করে বেপরোয়াভাবে জীবন যাপন করছে। মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা অভিজিত বড়ুয়া জানান, মমতাজ মিয়া শাপলাপুর বিট থেকে বদলি হয়েছে। তবে কর্মস্থলে যোগদান করেছেন কিনা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
আপনার মতামত লিখুন :