মহেশখালী মায়ানমারের এজেন্ট হয়ে কাজ করছে এনজিও সংস্থা ‘একশান কন্ট্রি লা-ফিম (এসিএফ)’। কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ কারাতে নিয়ে ৯ রোহিঙ্গাকে আটকের মাধ্যমে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ গ্রাম পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করে।
এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এসিএফ’র ৪ কর্মকর্তাকে থানায় পাঠানো হয়। আটকৃতরা হলো, নজিম উল্লাহ (২৩), লাল মোহাম্মদ (২৭), নুর আলম (৩০), এশাদুল্লাহ (২৮), কেফায়েত উল্লাহ (৩০), খায়রুল আমিন (২৫), জিয়াবুল হোসেন (১৬), জফুর উল্লাহ (২১), হামিদ হোসেন ও হামিদ হোসেন।
আটককৃত রোহিঙ্গারা জানায়, উখিয়া কুতুপালং থেকে তাদের চাকরির লোভ দেখিয়ে মেসার্স আলী কন্সট্রাকশনের মোহাম্মদ আলী এসিএফ এর ম্যানেজার (লজিষ্টিক) দিদারুল ইসলাম রাকিবুল ও আরেফিন সহ কয়েকজন যোগসাজশে তাদের মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে নিয়ে আসে।
এসিএফ কক্সবাজার জোনের লজিস্টিক মোঃ আলম জানায়, ভেন্ডরের গাফিলতির কারণে এমন ভুল হয়েছে। মেসার্স আলী কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ সাথে নিয়ে ৯ রোহিঙ্গাকে আটক করেন। এছাড়াও এসিএফ এ কর্মরত চারজন বাঙ্গালি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আদেশক্রমে আটক রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ক্যাম্পে হস্তান্তর করার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, এসিএফ এর ভেন্ডর মোঃ আলী নিজেই রোহিঙ্গা বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছেন তিনি। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহাফুজুর রহমান বলেন, আটক ৯ রোহিঙ্গাকে পুলিশের হেফাজতে দেওয়ার জন্য মাতারবাড়ী চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এর পিছনে কে বা কারা জড়িত। সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :