মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দেশের সব মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে অবস্থিত শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ফল ও মিষ্টি পাঠান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু এবং সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে এসব উপহার পৌঁছে দেন।
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো প্রতিটি জাতীয় দিবস ও উৎসবে স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, এজন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
এছাড়া সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অবমাননা ও সেই সাথে নব্য রাজাকারদের উত্থানের প্রচেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যেকোনো মূল্যে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ রাষ্ট্রবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরি এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, বাঙালি জাতির শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটাতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, দীর্ঘ নয় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে তার সফল পরিণতি পায়।
একে একে ৪৯ বছর পেরিয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর সামনে দাঁড়ানো বাংলাদেশকে এখন সুবর্ণ সময়ও ডাকছে। পাকিস্তানের চেয়ে দ্বিগুন জিডিপি নিয়ে এগিয়ে চলেছে সোনার বাংলা।
বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনিতে শুরু হয় বিজয়ের উৎসব। চলতি বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে বিজয়ের এই উৎসব বড় পরিসরে উদযাপনের কথা থাকলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তা হচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :