যশোরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ৯৬ হাজার ব্যক্তি প্রথম ধাপে টিকা পাবেন। তবে ১৮ বছরের নিচে কোন লোক কিংবা সন্তান সম্ভবা দুগ্ধদানকারী মা, শিশু ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিরা টিকা পাবেন না।
টিকা প্রদানের জন্যে যশোরে ১০টি কেন্দ্র থাকছে। জেলার ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭টি, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, পুলিশ লাইন হাসপাতাল ও যশোর সিএমএইচ-এ ১টি করে কেন্দ্র থাকছে।
এসব কেন্দ্রের জন্যে ৩৩টি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান টিম গঠন করা হয়েছে। ৩৩টি টিমের মধ্যে ২৭টি টিম সার্বক্ষণিক ভ্যাকসিন প্রদান করবেন। বাকী টিম থাকবে ভ্রাম্যমান। প্রয়োজনে এ টিম কাজ করবেন।
২৭টি টিমের মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ৮টি, সিএমমএইচ-এ ৪টি, পুলিশ লাইন হাসপাতালে ১টি, যশোর শহর ও সদর উপজেলায় ১৩টি, ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি করে ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্যে ৪টি এবং সিভিল সার্জন অফিসে ২টি অতিরিক্ত টিম থাকছে ভ্রাম্যমান হিসেবে।
এক টিমে ৬ জন করে সদস্য থাকবেন। সেবিকা, এসএসিএমও এবং এফডব্লিউভি, টেকনিশিয়ানগণ টিকা দেবেন।
যশোরে টিকার বরাদ্দ এবং ভ্যাকসিন প্রদানের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও কতজন প্রথম ধাপে টিকা নেবেন সে তালিকা প্রণয়নের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
এব্যাপারে যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৯৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন প্রথম ধাপে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন ইপিআই বিভাগের স্টোরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এক একটি ভায়ালে ১০ ডোজ করে ভ্যাকসিন আছে। প্রতি ১০ জন একটি করে ভায়ালের ভ্যাকসিন পাবেন।
সিভিল সার্জন বলেন, কেউ যদি ভ্যাকসিন নিতে অনীহা প্রকাশ করেন তাহলে তাকে জোরপূর্বক ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না। ১৮ বছরের কম বয়সী কাউকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না। গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি, সন্তান সম্ভবা ও দুগ্ধদানকারী মাকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :