রংপুরের পীরগাছায় ১৫ বছরের এক কিশোরের দ্বারা চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গত ২৭ মে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও শিশুটি অসুস্থ্ হওয়ার পর ২২ দিনের মাথায় এ বিষয়ে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে শিশুটির বাবা।
শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে মামলা রেকর্ডভূক্ত করা হয়।
বর্তমানে শিশুটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের একটি গ্রামের জনৈক ব্যক্তি চার বছরের শিশু কন্যা আলোকে (ছদ্মনাম) বাড়িতে কেউ না থাকায় গত ২৭ মে বিকেলে ফুসলিয়ে বাড়ির পাশে কান্দির হাট স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে নিয়ে যান প্রতিবেশি আলম মিয়ার ছেলে হাফিজুর রহমান (১৫)।
সেখানে স্কুলের একটি নির্মাণধীন টয়লেটে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন হাফিজুর।
বাড়িতে গিয়ে শিশুটি অসুস্থ্ হয়ে পড়লে তার বাবা-মা তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেন।
কিন্তু ধীরে ধীরে শিশুটি বেশি অসুস্থ্ হয়ে পড়লে তাকে গত ৮ জুন পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সেখানেই ধর্ষণের ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ে।
পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে শিশুর বাবা শুক্রবার বাদি হয়ে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ সেটি রাতেই রেকর্ডভূক্ত করে।
শিশুটির মা বলেন, আমরা ব্যাপারটি জানতাম না, হঠাৎ করে আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ্য হলে পীরগাছা হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানেই ঘটনাটি প্রকাশ পায়। শিশুটি গোপনাঙ্গ ও মলদার ছিড়ে এক হয়ে গেছে। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত হাফিজুরের কঠিন শাস্তি চাই।
পীরগাছা থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :