দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ঘুষের মামলায় রংপুর এলজিইডি’র নির্বাহি প্রকৌশলী আখতার হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী কাওছার আলম আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মজ্ঞুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, রংপুর এলজিইডি’র অধিনে প্রায় ৭ কোটি টাকা প্রাক্কলিত মুল্যের দুটি টেন্ডারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রবিউল আলম বুলবুল সর্বনিম্ন দরপত্রদাতা বিবেচিত হবার পরেও শতকরা দুই ভাগ হারে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে না পাওয়ায় অন্য একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করে।
এতে সরকারের ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় ঠিকাদার রবিউল ইসলাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি তদন্ত করার জন্য দুদককে নির্দ্দেশ দেন।
দুদক তদন্ত শেষে রংপুর এলজিইডির সাবেক নির্বাহি প্রকৌশলী আকতার হোসেন, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী কাওছার আলম (বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত) সহ ৪ আসামীর বিরুদ্ধে দন্ডবিধি আইনের ১৬১/১৬৬/৪০৯ ধারা ও দুদক আইনের ৫(২) ধারায় আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী কাওছার আলম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ এবং স্পেশাল জজ শাহেনুর শুনানী শেষে আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সরকার পক্ষের আইনজিবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ও দুদক’র আইনজীবী হারুনর রশীদ জানান, আসামীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ দাবি করে না পেয়ে সর্বনিম্ন দরপত্রদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ না দিয়ে সরকারের ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :