রংপুরে শিশু রহিমা ধর্ষণ ও হত্যাকারী গ্রেফতার


রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর প্রকাশের সময় : জুন ২৫, ২০২১, ১:৫৫ অপরাহ্ন / ২৩৭
রংপুরে শিশু রহিমা ধর্ষণ ও হত্যাকারী গ্রেফতার

রংপুরের মিঠাপুকুরে চাঞ্চল্যকর শিশু রহিমা ধর্ষণ ও হত্যাকারী রাজা গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ব্লেড, কোদাল, বটি ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের চেষ্টার সময় চিৎকার করায় শিশুটিকে শ্বাসরোধে এবং ব্লেড দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে বলে স্বীকার করে রাজা।

নিহত শিশু রহিমা খাতুন মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের বুজরুক সন্তোষপুর গাছুয়াপাড়া গ্রামের

রবিউল ইসলামের মেয়ে এবং বুজরুক সন্তোষপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রাজা জানিয়েছেন, ওই দিন দুপুরে রহিমা দোকানে

চিপস কিনে বাড়ি ফিরছিল।

পথে রাজা মিয়া তাকে ১০ টাকা দিয়ে আরও একটি চিপস কিনে রাজার ঘরে দিতে যায় রহিমা।

চিপস কিনে দিতে গেলে রাজা ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

ওই সময় শিশুটি চিৎকার দিলে রাজা তার গলা টিপে ধরে। এতে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ব্লেড দিয়ে রহিমার গলা কাটে রাজা।

মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সে কোদাল ও বটি দিয়ে ঘরের মধ্যে গর্ত করে লাশ গর্তের মধ্যে পুঁতে ফেলে।

গর্ত পানি দিয়ে লেপে তার ওপর ধানের বস্তা রেখে দেয়।

এরপর সে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কোদাল পাশের বাড়িতে, বটি বেডের নিচে এবং রক্ত মোছার কাজে ব্যবহৃত কাঁথা ও লুংগি

পুকুরে পুঁতে রাখে। এরপর সে হত্যাকান্ড আড়াল করার জন্য সবার সাথে শিশু রহিমাকে খুঁজতে থাকে।

ওই দিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

পরদিন সকাল ৮ টায় তার ঘরের মেঝে খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের মা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার দিনই হত্যাকারী রাজার নানী হালিমাকে গ্রেফতার করে।

পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার তথ্য অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ব্লেড, বটি, কোদাল এবং রক্ত মোছার কাজে ব্যবহৃত লুংগি ও কাথা উদ্ধার করে।