রংপুরে প্রতিবন্ধী রিকশাচালক নাজমুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলীর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া হাসান আলীর স্ত্রী সাথী বেগমকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।রিমান্ড শুনানীর সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত( তাজাহাট) এর বিচারক ফজলে এলাহী খান এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি উপ পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালি জোন) আলতাফ হোসেন।
২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর আশরতপুর কোর্টপাড়া এলাকায় পুলিশ সদস্য হাসান আলীর ভাড়া বাসা থেকে প্রতিবন্ধী রিকশাচালক নাজমুল ইসলামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে কনস্টেবল হাসান আলী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। আগের দিন রাতে রিকশা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসান আলীর সঙ্গে নাজমুলের বিরোধ হয়। এরই জের ধরে প্রতিবন্ধী নাজমুলকে মারধর করেন হাসান আলী। একপর্যায়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আশরতপুর কোর্টপাড়া এলাকার নিজের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যান হাসান আলী। পরে ওই বাড়ি থেকে নাজমুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই রাতেই নাজমুলের স্ত্রী শ্যামলী বেগম বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ২৪ ডিসেম্বর অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে হাসান আলীর ৪ দিনের রিমান্ড এবং তার স্ত্রীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি উপ-পুলিশ কমিশনার আলতাফ হোসেন জানান, রিকশাচালক নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী মামলা করেছে। আসামীকে রিমান্ডে আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
Leave a Reply