রংপুরে সেতু ভেঙে দুর্ভোগের শিকার ৪ হাজার মানুষ


রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৮, ২০২১, ১:১৬ অপরাহ্ন / ১৪২
রংপুরে সেতু ভেঙে দুর্ভোগের শিকার ৪ হাজার মানুষ

রংপুরের মিঠাপুকুরে চলাচলের রাস্তায় একটি সেতুর মুখ ভেঙে ছয় গ্রামের চার হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। প্রায় ছয় মাস ধরে ওই রাস্তায় চলাচল বন্ধ থাকার ফলে অবর্ণনীয় দুর্দশা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হাছিয়া নামাপাড়া এলাকায় কাঠগড়া নদীর ওপর এই সেতুর মুখ ঠিক করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পেছনে ঘুরেও কোন কাজ হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাছিয়া নামাপাড়া গ্রামে কাঠগড়া নদীর ওপর সেতুর দুই মুখ ভেঙে গেছে। রাস্তা থেকে সেতুতে ওঠার নেই কোনো ব্যবস্থা। অথচ হাছিয়া হেলেঞ্চা, উচা বালুয়া, সন্তোষপুর, আকন্দপাড়া ও নামাপাড়া গ্রামের লোকজন চলাচল করত এই সড়ক দিয়ে। গত বছরের বন্যায় নদীর ওই সেতুর মুখ ভেঙে যায়। ফলে চলাচল একবারে বন্ধ হয়ে যায় স্থানীয় প্রায় চার হাজার মানুষের।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে কাঠগড়া নদীর ওপর নির্মিত হয় একটি সেতু। গত বছরের হঠাৎ বন্যায় ভেঙে যায় সেতুর দুই মুখ ও সংযোগ সড়কটি। এলাকাবাসী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার হয়নি।

শহিদুল ইসলাম বলেন, ছয় গ্রামের প্রায় চার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। বন্যার কারণে সেতু ভেঙে যাওয়ার ফলে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মিলন মিয়া বলেন, এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তাটির কাঠগড়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করে সরকার। কিন্তু সেতুর মুখ ভেঙে যাওয়ায় এখানকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে কয়েক দফা রাস্তাটি ঠিক করলেও পরে বন্যায় আবারো রাস্তাটি ভেঙে যায়।

বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, কাঠগড়া নদীর ওই সেতুর মুখ ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কাবিখা প্রকল্পের অর্থ দিয়ে রাস্তাটি ঠিক করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভূঁইয়া বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ঠিক করার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।