সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসিনতা ও যথাযথ আইন প্রয়োগে ব্যর্থতার কারণে তারের জঞ্জাল দিন দিন বাড়ছে। নগরের সড়কগুলোয় বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে বিদ্যুৎ, স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরদের ডিশলাইন ও ইন্টারনেটের শতশত তার। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটছে মাঝেমধ্যেই।
নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তারের জঞ্জালে সড়কের দামি বৈদ্যুতিক ও সড়কবাতির খুঁটির ক্ষতি হচ্ছে। ঝুলতে ঝুলতে অনেক স্থানে তারগুলো মাটি পর্যন্ত স্পর্শ করছে। এসব তারের জঞ্জালে একদিকে নগরীর সৌন্দর্যহানি হচ্ছে, অপরদিকে বিভিন্ন সময় ঘটছে অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা। ঝুলে থাকা ডিশ বা ইন্টারনেটের ক্যাবল থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। পুরনো তারে ত্রুটি দেখা দিলে সেগুলো না কেটেই নতুন তার লাগিয়ে নেয় সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে তারের জঞ্জাল দিন দিন বেড়েই চলেছে।
নগরবাসী বলছেন, শহরকে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত করতে নগরে বিদ্যুৎলাইন এবং ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরদের লাইন মাটির নিচে নেওয়ার কাজটি করতে হবে। এই ভূগর্ভস্থ লাইন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি সিস্টেম লস কমিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের উপকার করবে। ঝড়-বৃষ্টিতেও বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হবে না। একই সাথে মহানগরীর সৌন্দর্যহানিও হবে না।
নগরের উপশহর এলাকার বাসিন্দা আজমল হুসাইন বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় রাজশাহী দেশসেরা। আমাদের পরিচ্ছন্নতার সবাই প্রশংসা করেন। এতে আমরা গর্বিত। কিন্তু যখন দেখি পরিচ্ছন্ন শহরের সৌন্দর্যহানি হচ্ছে তারের জঞ্জালের কারণে, তখন এটি আমাদের খারাপ লাগে। তারের জঞ্জাল ঝুঁকিপূর্ণও বটে। তারের জঞ্জালমুক্ত মহানগর গড়তে এখই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী সিরাজুল মোস্তফা বলেন, মাটির নিচে বিদ্যুতের তার নেওয়া হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমে যাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষায় তার ছিঁড়ে পড়ার ভয়ও থাকবে না। নান্দনিক শহর গড়ে তুলতে তারের জঞ্জাল সরানো জরুরি।
জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ বনি আহসান বলেন, ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরদের তারের জঞ্জাল সরাতে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারের জঞ্জাল তারা সরাচ্ছে না। বিভিন্ন বিদ্যুতের খুঁটি ও ল্যাম্পপোস্টের সাথে অতিরিক্ত তার পেঁচিয়ে রাখছে ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট ক্যাবল অপারেটরা।
আপনার মতামত লিখুন :