রাজস্ব যোগান দিবে টেকনাফের ন্যাচার পার্ক


সংবাদদাতা, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২, ২০২১, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন / ১২৪
রাজস্ব যোগান দিবে টেকনাফের ন্যাচার পার্ক

পর্যটন জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মোহনীয় একটি সুন্দর পর্যটন এলাকার নাম ন্যাচার পার্ক। সুন্দর মনোমুগ্ধকর এ পাহাড়ী অঞ্চলে রয়েছে বিশাল বনভূমি ও প্রকৃতির সুনিপুণ সৌন্দর্য্যের সমারোহ। এ পার্ককে টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যও বলা হয়। কিন্তু এ এলাকায় প্রায়ই অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের দেখতে পাওয়া যায়। আর এ আতঙ্কে গত কয়েক বছর ধরে এখানে পর্যটকরা আসে না বলে অভিযোগ সচেতনমহলের। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

বাংলাদেশে হাতে গোনা যে কয়েকটি স্থানে বন্য হাতির দেখা মেলে তার মধ্যে টেকনাফ গেম রিজার্ভ অন্যতম। এর আয়তন প্রায় ১১,৬১৫ হেক্টর। বন্য হাতির অভয়ারণ্য হিসেবে ১৯৮৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে বন ছাড়াও আছে নাইটং পাহাড়, কুদুম গুহা, কুঠি পাহাড় প্রভৃতি আকর্ষণীয় স্থান। বনের উঁচু পাহাড় আর বঙ্গোপসাগরের মাঝে রয়েছে বিশাল গর্জন বন। আছে ১০০০ ফুট উঁচু তৈঙ্গা চূড়া।

অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আনাগোনা থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাদেরও আতঙ্কের মধ্যে ন্যাচার পার্কে ঢুকতে হয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন কর্মকর্তা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও পার্কটির সৌন্দর্য্য বর্ধনে কার্যকরী উদ্যোগ নিলে সরকার প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয়ে সক্ষম হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সচেতন ও শিক্ষিত মহলও একই মত পোষন করেছেন। তারা বলেন, পর্যটক আকৃষ্টে নানাবিধ প্রকল্প নিয়ে কাজ করা হলে ন্যাচার পার্কটির সৌন্দর্য্য বাড়বে। ফলে আবারো ভ্রমণ পিপাসুরা আসতে থাকবে। এতে সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব পাবে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, পার্কটির কথা বিবেচনা করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে এলে আবারো সৌন্দর্য্য ফিরে পাবে। ফলে পর্যটকরা আসতে থাকলে বিভিন্ন দিক দিয়ে সরকার রাজস্ব পাবে।