রাণীনগরে দেড় বছরেও শেষ হয়নি রাস্তা সংস্কার


সংবাদদাতা, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২১, ১:১৮ অপরাহ্ন / ৫০১
রাণীনগরে দেড় বছরেও শেষ হয়নি রাস্তা সংস্কার

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সদরের উত্তর রাজাপুর গ্রামের কুদ্দুসের দোকন থেকে রক্তদহ বিল মুখ পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলজিইডির রাস্তার এইচবিবি কাজ (মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করনের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড করণ) দীর্ঘ দেড় বছরেও শেষ হয়নি। কাজ সম্পন্ন না করেই চলে গেছেন ঠিকাদার। এছাড়া যেটুকু কাজ করা হয়েছে সেখানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বর্তমানে রাস্তাটি মুখ থুবড়ে আছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিসের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতা এবং তদারকির অভাবে এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। যেন দেখার কেউ নেই। এছাড়া রাস্তাটির নির্মাণকাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে ওই রাস্তার বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি অফিসে তথ্য নিতে গেলে সাংবাদিকদের কোন তথ্য দেননি এলজিইডি প্রকৌশলী।

জানা যায়, রাণীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের কুদ্দুসের দোকান থেকে রক্তদহ বিল মুখ পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা এইচবিবি কাজ ও রাস্তার ধারে কিছু প্যালাসাইড করার জন্য ২০১৯ সালে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিস থেকে টেন্ডার দেয়া হয়। সেই টেন্ডারে পোরশার মেসার্স গণি স্টোর নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। সেই কাজ নওগাঁর মিঠু নামে এক ঠিকাদার করছেন। এই কাজের বরাদ্দ দেয়া হয় ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

রাস্তাটির কাজ শুরু করে অবশিষ্ট কাজ ফেলে রেখে চলে যান ঠিকাদার। এছাড়া রাস্তার ধারে এখনো করা হয়নি প্যালাসাইডের কাজ। বর্তমানে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের কারণে রাস্তা খানাখন্দে ভরপুর হয়ে মুখ থুবড়ে আছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পার হলেও রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে রাস্তাটির কাজের বর্তমান ঠিকাদার মিঠু বলেন, বন্যার পানির কারণে রাস্তার কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাকছুদুল আলম বলেন, বন্যার পানির কারণে কাজের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে তাগিত দেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

এ ঘটনায় দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।