খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের লামকুপাড়া ও রামগড় ১নং ইউনিয়ন পরিষদ সহ ৪গ্রামে
যাওয়ার একমাত্র গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা।
এদিকে সড়কের পাশে খালের ওপর ব্রীজের কাজও চলছে ধীরগতিতে।
কালাডেবা বাজার থেকে লামকু পাড়া যাওয়ার একমাত্র সড়কের খালের ওপর বড় ব্রীজ নির্মাণে এলজিডি দপ্তর থেকে
প্রায় ১কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়।
ব্রীজের নির্মাণ কাজের ধীরগতির ফলে এলাকার মানুষের ভোগান্তি যেন শেষ হচ্ছে না।
খালের ওপর পুর্বের ব্রীজটি সরিয়ে ফেলা হলেও চলাচলের উপযুক্ত ব্যবস্থা না করাতে বর্ষাতে ৪গ্রামের মানুষের চলাচলের
খুবই অসুবিধা হচ্ছে বলে একাবাসী সুত্রে জানা গেছে।
এই রাস্তা এবং ব্রীজ দিয়ে এলাকার শতাধিক কৃষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সর্ব পেশার মানুষ চলাচল করে থাকে।
দ্রুত ব্রীজ নির্মাণকাজ শেষ করা না হলে বর্ষা মৌসুমে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকবে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রামগড় কালাডেবা বাজার থেকে উপজেলার ১নং ইউনিয়নের যাওয়ার ব্যস্ততম অর্ধেক
পাকা এবং অর্ধেক কাঁচা রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গা থাকার কারণেও জনসাধারণের চলাচলের সমস্যা হচ্ছে।
এ পথ দিয়ে লামকুপাড়া থেকে সকাল সন্ধ্যায় মানুষ কালাডেবা বাজারে জরুরী কাাজে আসা যাওয়া করেন।
নির্মাণাধীন ব্রীজের পাশে স্থাপন করা খালের ওপর পুর্বের ব্রীজের পাশে সামান্য বৃষ্টির পানিতে মাটি কাদায় পরিণত হয়।
পুরো বর্ষা মৌসুম জুড়েই রাস্তাটি কাদা পানিতে একাকার হয়ে থাকবে।
ফলে বতর্মানে অস্থায়ী লোহার ব্রীজের দু’পাশে রাস্তা সংস্কার করা না হলে মানুষ এবং যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের, জহিরুল ইসলাম ওমর ফারুক বলেন, অস্থায়ী ব্রীজের রাস্তার দুই পাশে চলাচলের অযোগ্য
হয়ে পড়াতে গ্রামের শিক্ষার্থী, কৃষক সহ বিভিন্ন পেশার অধিকাংশ মানুষ সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারে না তাদের কর্মস্থলে ।
এবিষয়ে এলজিইডি রামগড় উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় মজুমদার বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ সড়কটির পাশে খালের ওপর
ব্রীজ নির্মাণকাজে কোন গাফিলতি হচ্ছে না। বৃষ্টির জন্য কাজ দ্রুত করা যাচ্ছে না।
ব্রীজের কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।বর্তমানে ব্রীজের দুই পাশে জনসাধারণের চলাচলের জন্য
ইট বসানোর চেষ্ঠা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :