লক্ষ্মীপুরে ঋণের চাপে দোকানির আত্মহত্যা

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকার চাপে মো. হারুনুর রশিদ (৪০) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।

সোমবার (১০ জুন) সকালে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের কোম্পানির রাস্তার মাথায় নিজের চা দোকান থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

হারুন ওই এলাকার মৃত আমিন উল্লাহর ছেলে। তিনি তিন মেয়ে, দুই ছেলের জনক।

পরিবারের লোকজন জানায়, হারুন চারটি এনজিও (প্রিজন বাংলাদেশ, ব্রাক ব্যাংক, উত্তরণ ও আশা) থেকে বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় চার লাখ টাকা ঋণ নেন। ব্যক্তিগতভাবেও ধার-দেনায় ছিলেন তিনি। কিস্তির টাকা নিয়ে মেয়ের বিয়ে ও দোকানের কাজে লাগান।

সোমবার (১০ জুন) কিস্তির টাকা পরিশোধের তারিখ ছিল। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। সকালে দোকানের মধ্যে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।

হারুনের স্ত্রী বিবি কুলছুম জানান, প্রতি মাসে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। দোকানের স্বল্প আয়ে কয়েক মাস কষ্ট করে পরিশোধ করলেও চলতি মাসে তা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এদিকে এনজিও কর্মীরা চাপ দিচ্ছিলেন। তাদের চাপ ও লোকলজ্জার ভয়ে নিজ দোকানের ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি লাগিয়ে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।

তিনি বলেন, এসব ঋণ কিভাবে পরিশোধ করব? আমাদের দুজন নাবালক ছেলে সন্তানকে কিভাবে মানুষ করব?

কমলনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।