লক্ষ্মীপুরে স্কুলে বসে শিক্ষকের মাদক সেবন!


সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৮, ২০২১, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন / ২৪০
লক্ষ্মীপুরে স্কুলে বসে শিক্ষকের মাদক সেবন!

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলমকে ইয়াবা সেবনের সময় হাতেনাতে আটক করেছে এলাকাবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাতে বিদ্যালয়ে নিজ কক্ষে ইয়াবা সেবন করে আসছেন বলে অভিযোগ।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে এলাকাবাসী তাকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামসহ হাতেনাতে আটক করে। পরে বিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার শর্তে এলাকাবাসী তাকে ছেড়ে দেয়।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ মাসুদ আলমের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরিচালনা কমিটি জরুরি সভা করে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সভাপতি ফরিদ উদ্দিন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রধানশিক্ষক মাসুদ রাতে বিদ্যালয়ে নিজ কক্ষে সময় কাটান। বিষয়টি স্থানীয়রা বুঝতে পারেন। সোমবার রাতে তারা আগ থেকেই ওত পেতে ছিলেন। রাত প্রায় ৮টার দিকে মাসুদ বিদ্যালয়ে এসে কক্ষে ঢুকে ইয়াবা সেবন করছিলেন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী কক্ষে ঢুকে হাতেনাতে ইয়াবা সেবনকালে তাকে (মাসুদ) আটক করে। কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের বোতল, কর্কসহ ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি দেখা যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়। এ সময় মাসুদ সংশোধন হবেন জানিয়ে এ বিদ্যালয় থেকে চলে যাবেন বলে জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষক সম্প্রতি নেশায় জড়িয়ে অসংলগ্ন হয়ে পড়েছেন। মাদকাসক্ত শিক্ষকের কাছে ছাত্রছাত্রীরা কি শিখবে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান তারা।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ইয়াবা সেবনের ঘটনাটি কয়েকজন আমাকে জানিয়েছেন। সম্মান রক্ষার্থে আপাতত তাকে ছেড়ে দিতে বলেছি। পরিচালনা কমিটির বৈঠকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বক্তব্য জানতে প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলমকে ফোন দিলে তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানান, মাসুদ ফোন ঘরে রেখে বােইরে আছেন।

সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এর আগেই লোকজন শিক্ষককে ছেড়ে দিয়েছেন।

উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানা নেই।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার ঘোষ বলেন, ঘটনাটি আমাকে কেউ জানায়নি। এ ব্যপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।