লালমনিরহাটে ভেজাল ঔষধের ছড়াছড়ি


মোঃ হাসান আলী, লালমনিরহাট প্রকাশের সময় : জুন ২৩, ২০২১, ১২:১১ অপরাহ্ন / ৩৩৪
লালমনিরহাটে ভেজাল ঔষধের ছড়াছড়ি

লালমনিরহাট জেলায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উদাসীনতায় সর্বত্রই ভেজাল ঔষধের ছড়াছড়ির অভিযোগ উঠেছে। লালমনিরহাট জেলা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরটির সুপার হাফিজুর রহমানকে দুষছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই।

জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলার প্রায় ২হাজার ঔষধের দোকান রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১হাজার ১শত ঔষধ দোকানের ড্রাগ লাইসেন্স থাকলেও বাকী দোকানগুলো অবৈধ ভাবে কমিশনের ভিত্তিতে চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জেলার আনাচে-কানাচে প্রায় ঔষধের দোকানে ও মদি দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন বিহীন ভেজাল ঔষধ।

বাহারী নামে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সুন্দর লেবেল লাগিয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে যৌন উত্তেজক এই সব ঔষধ।

তারমধ্যে ওয়ান ফ্রুট সিরাপ, জিনসা, টাচ্ ফ্রুট সিরাপ, হর্স পাওয়ার, জিনসিন ও ভিগোসা নামক যৌন উত্তেযক ঔষধ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চিকিৎসক বলেন, অনুমোদন বিহীন ঔষধ মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যার

প্রভাবে শরিরে নানা উপস্বর্গ দেখা দেয়। প্রতিদিন উঠতি বয়সের ছেলে, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, অসচেতন নাগরিক এই

সব ঔষধ ক্রয় করতে দোকানগুলোতে ভিড় করছে।

তালুক খুটামারা বত্রিশ হাজরীর ঈদ গাহ মাঠ সংলগ্ন বাবু, শহীদ শাজাহান কলোনীর বাদল ও রেল বাজার এলাকার শাহ

আলম এই ৩জন সিন্ডিকেট করে পুরো জেলায় এই অবৈধ সিরাপ সরবরাহ করছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় সাংবাদিকদের বলেন, অনুমোদনবিহীন যে কোন ঔষধ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

বিজ্ঞ মহল মনে করেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে উঠতি বয়সীরাসহ মানুষের বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।