বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলায় দীর্ঘ তিন বছর পর হঠাৎ করে ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করায় বঞ্চিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগ। ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২১জানুয়ারি) দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম জীবন লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা দলকে সংগঠিত করে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন ঘোষিত কমিটিতে তাদের কোনো নামগন্ধ নেই। আকষ্মিকভাবে কমিটি ঘোষনা করায় ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি রাতে হঠাৎ করে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে অছাত্রদের দিয়ে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রচার দেখে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। সাইফুল ইসলাম জীবন আরো বলেন, ২০১৭ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়।
গত বছরের ৯ জানুয়ারি ছাত্রলীগের আহবায়ক আবুল হাসান মীরের মৃত্যুর পর যুগ্ম- আহবায়ক খায়রুল ইসলাম শরীফ ও হাসান হাওলাদারকে নিয়ে তিনি তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সব ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু, তাদের অজান্তে কমিটি ঘোষনা দেওয়ায় এলাকায় বিতর্ক ও নেতাকর্মীদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের নিয়মে তথাকথিত ওই কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের ছাত্রলীগ করার বয়স উত্তীর্ণ হয়েছে। এসএসসি সনদ অনুয়ায়ী তার জন্ম তারিখ ২০/১০/১৯৮৯। তাছাড়া, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাব্বির নিয়মিত ছাত্র নয় এবং তিনি বিবাহিত।
একটি মহল জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই কমিটির অনুমোদন করিয়েছেন। যার ফলে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম ও মর্যাদা চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তিনি সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনার জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, জেলা কমিটির এক জরুরী সভায় শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের নিষ্ক্রিয় আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে দলকে গতিশীল করতে এক বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :